ভাবনায় দোল খেতে খেতে,দুলতে থেকে;
শাহিদার সাথে,
যেনো গল্প হচ্ছে;পাশাপাশি দু'জনে-
দুই দোলনায় বসে।
বিদ্যালয়,মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে-
এতটা বছর পেরুলো তবু;
শাহিদাকে খুঁজে পাওয়া গেলো না কোথাও!
নীলাঞ্জনাকে খুঁজে পাওয়া গেছে।
ময়ুরের নীল পেখম থেকে;আঁচলে যে নীল মাখে
আর আকাশকুসুম ভেবে- নীলকে আঁকে চোখে।
বলেছিলাম,চোখে সুর্মা কেনো মাখো না?
সুর্মার রংটাও তো বেশ- নীল নীলচে!
স্বপ্নিল চোখ দু'টো নীরব উত্তরে বলেছিলো-
আকাশকে ভালোবেসে না-কী;
আকাশকেই রেখেছে সে চোখে।
কবিতার মতো,দীঘির জলের মতো শান্ত-
শাহিদার সাথে আজও দেখা হলো না!
পাশাপাশি দু'টো দোলনা দুলতে দেখলেই
মনে পড়ে শৈশবে হারিয়ে ফেলা- শাহিদাকে,
আর যুগল দোলনায় মুখোমুখি বসে থাকে-
রঞ্জন,ডাগর চোখে।
দোলনা দুলছে- - -
আমগাছের ডালে রশিতে ঝুলানো দোলনা,
নারিকেল তেল মাখা;চুপচুপে ভেজা চুলে- শাহিদা,
আড়ষ্ট দাঁড়ানো। খোলা চুলে বৈশাখী বাতাস- উড়ানো!
মনে পড়ছে- শাহিদার হঠাৎ কাছে ভীড়বার কারণ,
আর দোলনার সাই সাই দোলনে ভুলে থাকা-সদ্য আত্মহত্যা করা- তার বোনের করুণ স্মৃতিচারণ।
মনে পড়ছে দোলনের বাজানো ড্রাম-বিট।
"বাম-ডান,বাম!" প্রশিক্ষণে
ড্রামের সাথে তাল মেলানো।
মন মগজ নাড়িয়ে দেয়া-
কালি বাবু স্যারের সেই জোড়ালো
সচেতনতামূলক বাঁশি!
আমাদের বিদ্যালয়ের সেইসব শিক্ষার্থীরা কী
আদৌ হুশিয়ার?
তারা কি সমতালে চলতে শিখেছি?
শাহিদা,কোথায় এখন তুমি?
তোমার চুলে ঘ্রাণ নিতে নিতে গান গেয়ে ওঠে কি তোমার স্বামী? মেঘলা দিনে মেঘলা চাহনি,তোমার ত্বকের লাবণি আর লজ্জার সৌন্দর্য নিয়ে কি সে কবিতা লিখে? না কি স্বামীরা প্রেমিক হয়ে উঠতে পারে না! আবার প্রেমিকরাও হতে পারে না-কখনো স্বামী?