তুমি কী আবার সেই- আগের সুরে?
যে তুমি- অহমিকার বাঁশি,
হরণ করতে চেয়ে কারো- সুরশ্রী,
টুটি চেপে;বাঁশিটাকে নিয়ে চলে গেলে-
                    অন্য সুরের রগঢ়ে।

বেজেছো কি কখনো সেখানে- সুরেলা?

যে ভুলে মন ভেংগে
            দু'চোখ জলে হলে সারা,
ফিরে পেতে সেই মন
            কেন আজ তবে দিশেহারা?
ভুল ভেংগে যাবার পরও কেনো
            ফিরে আসতে বাধা?
কেনো তবে মন জানতে-
            আড়ি পেতে থাকা?

অহমিকা?
তবে কি অহমিকার দাবী
ভালোবাসার চেয়েও বেশি?

আজও তো সেই সুর;সুরে-ই গায়-
                          একই প্রেমে,
ধ্যান থাকে আজও ধ্যানী-
                          একই ধ্যানে।
সে তো আগেই ছিলো জানা,
"স্রষ্ঠার প্রেমের চেয়ে;বড় নয় কোনো প্রেমই!"

মনে কি পড়ে- সেই দিন,সেই সরে যাওয়ার কথা?
ঘন্টার পর ঘন্টা কথোপকথন যা'র সাথে,
              তা'কে তোমার কী অদ্ভূত ভুলে থাকা!
স্বার্থপর বুঝি এমনইতরো হতে হয়?
বলেছিলে-
বাজছো না-কী নতুন কোনো পরিপক্বের সুরে,
যে কী-না তোমার সাথে দারুণ মাতে- লীলা নগরে,
সয়ে গিয়েছিলো সেই অপমান,
জানতো সে-ও সেদিন এই সত্য,
"অকালপক্ব খুব সহজেই ঝরে পড়ে।"

হিয়া বাজে কোন সে হিয়ায় আজও হিরন্ময়ে?
নিক্কন বাজে সুরে- রিনিঝিনি,কোন সে নুপুর পায়ে?
পরান তোলে পরানের সুর- কোন সে পরানে?

বাঁশিবিহীন একাকিনী বাজতে জানে যে,
তার সুর ঠেকাবে কী দিয়ে?
অসুরের বাঁশি বাজাতে চায় যদি,
সে বাজতো কি?    
তুমি এবং তোমাদের কেউ-ই তাই
সেই সুরের- বাঁশি হতে পারোনি।