স্মৃতির গুনগুন গুঞ্জন ছাপিয়ে,
কার প্রতিকৃতি আসে মনে?
কেনো ভাসে- স্মৃতির ছায়া ছায়া;মেঘ মায়া জলাশয়?
যে দু'টো চোখ ছিলো- আশায় উন্মুখ,
আজ তার কানায় কানায়;কোন সে সমুদ্র-
নোনা স্রোত?
সেই সকরুণ অবয়ব,প্রতিকৃতি
কেনো তা'র গুনের চেয়েও আজ মুখ্য বেশি?
সেই ছলছল চোখ,এলো রাখা চুলগুলো
এত স্মরণীয়,জনপ্রিয়- কেনো জানো?
জল-ছবি টেনে নিয়ে যায়- সেইসব দৃশ্য পটে,
গল্পের পাতায় পাতায় তা'রা ভুল করে গেছে যেখানে,
উপেক্ষিত সে যেখানে,অন্যত্র তোমাদের-
অনর্থক মোহের কারণে,
অমিত সম্ভাবনা,অনন্য সেই মেধা
ব্যর্থ যেভাবে।
স্মৃতি চরিত পড়তে শেখায়-
কী-করে রাত পার করা ভোর,
দিন শেষে আবার রাতের পর রাত নির্ঘুম।
যাতনা তাড়াতে সয়ে যাওয়া- অবহেলা ভরা
অতি ব্যস্ততার ওজর দেখানো,অন্যত্র গুনগুন ভ্রমর।
আরো কিছু বেদনা নেওয়া,আরও বেশি সয়ে যাওয়া
ধূমায়িত চায়ের কাপের ধোঁয়ায়,
সফেন মদের কৃত্রিম সুখের ফেনায়,
পারদ স্ফুটনাঙ্কে ফুটতে থাকা-
এক জনমের অপূরণ- সেইসব ভুল,
সঠিক বুঝতে পারার অক্ষমতা,
জয় করবার অপারগতা,
মেধার বৈকল্যতা,
ধ্যানে যাদের ছিলো না- একগ্রতা।
স-ব,সব আসে;স্মৃতি পটে ভীড় করে,
অনুশোচনার দহনে মন নীরবে টেনে আনে,
আনে বারংবার তার প্রতিকৃতি স্মরণে।
একবার হলেও মনে হয়-
পরিচিত বলয়ে খুব কাছাকাছি থেকেও
কেউ কারো কাছের নয়!
প্রিয় হতে পারেনি কেউ- একে অন্যে,
তুমি এলে,
ফিরে চলে যেতে হতে পারে,প্রত্যাখানে- - -