তুমি বলেছিলে-
এই শেষ!
কে যেন হেসে ওঠেছিলো আড়াল থেকে।
একদিনও যাবে না,ফের কানের কাছে ফিসফিসাবে,
তুমিও সুবোধের মতো মেনে নেবে তা-হ্যাঁ,
ভালোবাসায় বেধে রাখবে তাকেই,
মুখে বলবে- "না"।
মুখে যা বলো,তার নাম মন্ত্র।
মুখ-যন্ত্রের ক্রিয়া যতো!
অন্তরে ঈশ্বরকে ভুলে তো
সাকার মানুষকেই জপো!
ঈশ্বর হাসেন,ঠিক সত্যদ্রষ্টার মতন।
যে বুঝে,সে আর খোঁজে না।
যেমন ঈশ্বরকে খুঁজতে যেতে হয় না।
ঈশ্বরও খোঁজেন না কাওকে।
তিনি যেমন পা বিহীন হাঁটেন,দেখেন,
সে-ও কুশল জেনে রাখে-মানসাঙ্কে।
তাহলে কিসের এত খোঁজ?
- নিজের ভুল।
ধরা পড়ে যায় নিজের কাছে সে নিজে।
অপরাধীর আদালত আপন বিবেক,আর তাকে
আড়াল দিতে অপরাধী এমন কিছু খোঁজে;
যেন তার ভুল নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়!
যার সাথে যা'র যা কিছু ঘটে,
তা যদি হৃদয় একে রাখে,
তবে একজন তার চিত্রকর,অন্যজন- ক্যানভাস।
ক্যানভাস তার বুকে তুলির আঁচড় টের পেলেও,
আঁকা ছবিটি দেখতে পায় না!
চিত্রকর দেখেন তার নিজ মনের প্রতিচ্ছবি,
যা তার নিজস্ব জগত থেকেই উৎসারিত।অন্য মানুষটি সে শিল্পের মাধ্যম মাত্র,রঙের কারসাজি।
যে অপরাধী,সে তো সত্য জানেই!তাই
অপরাধীর অটুট প্রেম সেই মানুষটির সাথে,
যার সাথে সে সেই অপরাধে-
অবিচ্ছেদ্য,অকাট্যে।