চাই- শ্রমিকদের পদ-ধুলোর চিহ্ন আঁকা পথে
হেটে যেতে,
কবিতার খেরো খাতায়;পাতা থেকে পাতায়
তাদের মন আর বোধ নিয়ে লিখতে।
চিত্রকর বলি-
মাঝি,জেলে,তাঁতী,মুটে বয়ে চলা কুলী,মজুরকে,
চিত্রকল্প ফুটে ওঠে যাদের-
ঘাম নুন আর পেশিতে।
হতে চাই- সেই সুরের শ্রোতা,
যে সুরে বাধা যায় না- সাধের দোতারা,
ভুলে যায়- একতারা তার সাধনার ধুন,
পারে না-কোনো শিল্পী- যে সুরে গান গাইতে।
শোনা যায় যে সুর বাজতে কোনো-
কর্মক্লান্ত শ্রমিকের দূরের বাশীতে।
চাষিরা ফসল তোলে যে সুরে গুনগুনিয়ে গোলা ভরে
পাখিদের মিষ্টি গানের অনুকরণে-
সেলাই দিদিমণিরা-যে গান গেয়ে বস্ত্রশিল্প গড়ে,
তারই লহরী;ঝড় তুলুক-সে'সব শূন্য বুকে,
দারিদ্রতার কষাঘাতে জীর্ণ যাদের প্রাণে
সুরের খেয়া সদা বেসুরো থাকে।
ভালোবাসা শ্রদ্ধায় নত করে মাথা
সৎ শ্রমিকদের প্রতি,
বিশ্বাসে যারা বিশ্বস্ত,সততায় একনিষ্ঠ
প্রেমে একগামী,উপার্জণে কর্মঠ।
প্রেমিক মানি তা'কে,
যে তার রক্ত,ঘামে,
সৎ শ্রমের বিনিময়ে,অর্থে সাজায় গৃহ
আর জীবন সাথিটির পবিত্র দেহ।
প্রেম বৈঠা যার একক নৌকার সাধনায়,
উজান থেকে শুরু করে একই নদীর ভাটায়।