কাছেই কোথাও-
জানলার কপাট খোলার শব্দ।
থেকে থেকে কাশছে কেউ- ক্ষয় কাশ!
ভাসছে- অদেখা কাশবন,
পেলব ছোঁয়ায়- অজানা শিহরণ,
অনুভবে- অচেনা মানুষের মন,
কাংখিত পরশ।
মনোযোগ আকর্ষণের ইচ্ছেতে,
বের করে আনতে- বুকে জমিয়ে রাখা অব্যক্ত,
চেপে ধরে থাকা বুকটায়- ব্যথার উপশম দিতে,
কাশতেই থাকে- অবিরত।
মেয়েটির গোসল শেষে,ঝুল বারান্দাতে
যখন
চুল শুকোতে আসে,
মাঝে মাঝে জানলার পর্দাটা-
টেনে ঠিক না করে দেয়ার ভুলে;উঁকি দেয়া চলে,
ছায়া মানবীটিকে দেখা যায়-জলপরীর ছায়ার মতন!
স্নানঘর উপচানো-ফেনিল সাবান;স্নানজল,
ছোট্ট ঘরটিকে করে তোলে-উন্মত্ত সাগর!
কাশি বাড়তে থাকে।
তীর্থভূমি কাশি থেকে-
উলু আর কাঁসার ধ্বনি ভেসে আসে,
শুনতে পায় বাজছে শাঁখ,
কাশতে থাকে সে- বুকের খাঁচা খুলে,
প্রাণপাখি বেরিয়ে ওড়া তক,
হাতছানি দিয়ে ডাকে- দূ--রে কোথাও
নরম কাশ বনের দোল,
কাশির শ্লেষা বেরিয়ে আসতেই,
আবার শুরু হয়-
কাশির তোড়!
খান খান শব্দে ভেংগে যেতে চায়-
জানলার শার্সি,
ক্ষনে ক্ষনে শোনা যায় আর্তনাদ!
কাশতে থাকে-নিকটতম জানলার প্রতিবেশী।
শোনা যায়- কাছে কোথাও কাশছে- মধ্য রাত্তিরে,
জানলার ওপারে- ময়ুরী নীল সাদা পর্দা ওড়ে,
নিরাময় চাইছে- মনোদহন,
প্রত্যাশিত- নিদ্দৃষ্ট কোমল হাতের সেবা,
কাশি সারাতে তখন।