ফুলেরা সাজায়,
সাজি- ফুলো সাজে।
পাখিরা শিস দিয়ে ডাকে,
আড়মোড়া ভেংগে;
জেগে উঠি- প্রভাতে।
ডানায় রঙের উড়াল!
মধুকরী ঘুরে- ফুলে ফুলে,
ঝাঁকে ঝাঁকে প্রজাপতি ওড়ে-
পরাগ মেখে।
আমাদের দুঃখ আকাশ বোঝে,
তাইতো সে মুছে নেয়- মনোনীল,
বিষাদ ছড়িয়ে দিয়ে- নীলিমা মাঝে।
সমুদ্র সঠিক চেনে মন,
তাইতো আমাদের বিরুদ্ধে ছড়ানো নরাধমদের যতো-ষড়যন্ত্র,মিথ্যারোপ;গুজব;অপপ্রচারে সে-
বিক্ষোভে ফেটে পড়ে!
তরঙ্গে তরঙ্গে দেখায় তার ধরণ।
ওদের কেউই আমাদের স্বজন নয়,বন্ধু নয়,
আত্মীয় নয়,এমনকি প্রতিবেশীও নয়!
কেবল একে অন্যকে চিনি।
ওদের কেউ-ই অসহায়ত্ব নিয়ে,
চোখের জল ঝরিয়ে প্রার্থী হয়নি।
নিজ স্বার্থসিদ্ধির পর উধাও হয়ে যায়নি।
অত:পর সেবা ও উপকারের অস্বীকৃতি শেষে,
অকৃতজ্ঞ হয়ে দূর্ণাম রটায়নি,সরে যায়নি-
প্রাপ্য ফেরত না দিয়ে।
তোমরা যা করো,তা তোমাদের অন্তর যেমন জানে,
জানেন অন্তর্যামী। রক্ত সম্পর্কের সেতু বেয়ে;
লোকে যেমন রক্তাক্ত হয়,
প্রকৃতি ঠিক তার বিপরীত,
শান্তি দেয়,অপরাধের প্রতিশোধ নেয়,শাস্তি দেয়
আবার-
রক্তাক্ত ক্ষতে দেয়- উপশম।
প্রকৃতিকে চিনে জেনে,ন-মানুষদের
ভালোবাসাতেই যদি- মানুষকে বাঁচতে হয়,
বড়াই করা- সর্বশ্রেষ্ঠ;তোমরা কোথায়?