আলোয় তোমাদের চোখ ঝলসে যেতো,এতো আলো!তোমাদের কাছে ভালো লাগতো না।
দু'চোখ আলগোছে সরিয়ে নিতে- দূরে কাছে কোথাও অপেক্ষায় থাকা,ইশারায় কাছে ডাকা-
খুব ভালো লাগা-মুগ্ধতার আধার-
আঁধারের রগঢ়ে;মুখ লুকনোর ইচ্ছেতে
খুজে নিতে প্রশ্রয়।
চোখ মুখ তনু মন;সেই নিকষায়-
সুখের তরীতে ভাসতে,ভাসাতে,স্বপ্নে ডুবাতে,
কামনা বাসনায় দুলতে দোলাতে;পার করে দিতে-সেইসব আগুনময়া-জলপ্রপাতের তারুণ্য।
প্রণয়ের সুরে গেয়ে;যে পাখি আবেশ এনে দিতো রোমরন্ধ্রে,তা'কে দিব্যি উপেক্ষায় ফেলে,
রোমাঞ্চিত শিহরণে শিস বাজিয়ে চলে যেতে-
তুমি এবং তোমাদের বাহুলগ্না একান্তজন।
সেই তো সে-ই,সে আবার আগের মতই
বেরংগীন,একাকি ভীষণ!
ভিন্নতায় কেমন রূপ হতে পারে;তা জানবার কৌতূহলে,নিকট দূরত্বেরই একজন থেকে
তুলির ডগায় মেখে নিলো একদিন-
ইচ্ছে ভুলের মিছে কলংক,
আর তাতেই মুহূর্তে বদলে গেলো তার অবস্থান,
তার প্রতি সবার আগ্রহ।
মুখ ফিরিয়ে নেই-;কেউ আর এখন।
নতুন করে রঙের ডাব্বা হাতে-
প্রেম ভালোবাসার নব্য সংজ্ঞা খুঁজতে,
আকর্ষণের ভিন্ন মাত্রায় সে মধ্যমনি,
বেশ আগ্রহের বিষয়!
তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে সেইসব রাত্রি,
যাদের খোলা চুলের কালোতে একদা তোমাদের সবাইকেই সে ডুবে যেতে দেখেছে।
সুস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে,সবার আকাশেই সেই একই কালো চাঁদ!ফর্সা কপাল জুড়ে বড় ছোট নানান আকারে যার পদচ্ছাপ- গোপন কলংক-দাগ।
সাথে মিলে মিশে যাচ্ছে-তোমাদের স্মৃতি,পদোন্নতি
তারকা হয়ে ওঠবার অজানা কাহিনী।
মধ্য আকাশ জুড়ে ঠা! ঠা!হেসে ওঠে পূর্ণিমা,
ফুকারে নিভিয়ে দেয়;নক্ষত্রের অলিক চ্ছটা!
রাতের নেকাবে ঢাকে-
শাহজাদীর লজ্জাবনত রক্তাভা।
মানুষ কখনো বদলায় না!