হাত থাকলে;হাতের কাজ থাকে।
জন্ম থেকেই যার হাত নেই;সে জানে না-
হাত দিয়ে কাজ করতে কেমন লাগে।
হাত নামানো থাকলে তা ওঠানো যায়,ঘুরানো যায়,
কাজ শেষে হাত গুটানোও যায়!
হাত ওঠালে;সে হাত এক সময় ব্যথার ভারে
নামানোও লাগে-
      স্বেচ্ছায়, ইচ্ছায়,অনিচ্ছায়।

হাত না থাকলে-
তার প্রয়োজনীয়তা ভুলেও থাকা যায়!
হাত থাকতেই যে হবে;এমন নয়!
আবার থাকলেই যে-
আজীবন থাকবে তা-ও তো নয়!

মাটির পুতুলেরও হাত থাকে,
দু'পাশে দু'হাত ছড়িয়ে-দেহ ভারসাম্যে রাখে।
নিজ জীবন মূল্যহীন মনে হলে,
যথাযথ মূল্যায়ন না হলে,স্বাধীনতা খর্ব হলে;
মানুষ পায়-পুতুল জীবন,
প্রাণ থাকলেও প্রাণের অস্তিত্বের তখন
গুরুত্ব থাকে না!

বেশি কষ্টে থাকলে-
চলনাংগ অবশ ভেবে নিতে হয়,
মনটাকে অনুভূতিশুন্য করে দিতে হয়,
বেচে না থাকার মতো বেচে থাকতে হয়,
তখনও মাংসের হাত থাকে,পা থাকে,
থাকে- সচল হৃৎপিন্ড,
কিছু কিছু সময়,উপায় থেকেও যেমন
হয়ে পরে নিরুপায়,
সহায়- অসহায়,
সুযোগের পথ থেকেও
       কাজ হয়ে পড়ে- নিশ্চল,
তখন হাত থেকেও যেনো হাত অচল।

নিজেকে ভেবে নেয়া যাক তখন-
                           মাটির পুতুল,
হাত আছে,পা আছে,কিন্তু নড়ে না!নড়ানো যাবে না!
অন্যের দ্বারা চালাতে চাইলেও;চলবে না!
বয়ে নেয়া যাবে-নিজেই নিজের দুঃখের ভার,
সয়ে যাওয়া যাবে- সকল অনৌচিত্য,
                                অন্যায়,অবিচার।
তখন তুমি মানুষ হলেও আর মানুষ নও,
              মাটির পুতুল।
হাত আছে,কিন্তু হাত নেই।
পা থেকেও অনুভূতিহীন,
              চলৎশক্তিহীন।

জীবন এভাবেই দেবে,দেয়-
              ভারসাম্য।