চল মন চলে যাই ইউতোপিয়ার খোঁজে।
ছেঁড়া স্বপ্ন, ছেঁড়া ইচ্ছে, ছাড়া ছাড়া
সাম্পর্কগুলো বাক্সবন্দি করে-
রেখে চল মিলিয়ে যাই নিমেষে।
চোখে লেগে থাকা শীতঘুমের
আমেজ, ভুলে ভরা যৌবনে শুধু বার্ধক্যের
অপেক্ষায় রইলি- মাঝে রেখে প্রেম-
বিরহ স্মৃতির অসহ মর্মজ্বালা।
চল মন চলে যাই ইউতোপিয়ার খোঁজে।
ক্লসট্রফোবিক; সমাজের ইঁদুর দৌড়ে
সামিল হয়ে শেষে বিড়ালের থাবায় আজ
থেমে যেতে রাজি; এ যেন সায়ানাইডের
ভাপে বেঁচে থাকা মানব জীবন, ধিক্ ধিক্
করে চলা হৃদস্পন্দনে তাদের অস্তিত্ব্য ফলায়।
জাতি-বর্ণ ভেদে পিত্-পিত্, লিঙ্গ বৈষম্যের
কালো পথে হেঁটে যাওয়া মুণ্ডুহীন মানুষের বুক
চিতিয়ে চলা “মানব সভ্যতা” আজ টাইটেনিকের
মতো অতলজলে সমাহীত।
চল মন চলে যাই ইউতোপিয়ার খোঁজে।
সেখানে আমরা ঘাস হয়ে থাকব-
হাল্কা হাওয়ার দোলায়
শিশির জলে ভিজে মাথা ঝেড়ে নেব।
কিম্বা পাহাড়ের চূড়ায় ছুটে চলা-
বরফ ঝড়ের গন্ধ গায়ে মেখে
অ্যাভালেঞ্চের মাঝে দাঁড়িয়ে চীৎকার
করব, আর বলব-
“আমি বাঁচব”।
“আমি বাঁচব”।
“আমি বাঁচব”।