জনশূন্য ধূ ধূ মাঠ-
খোলা কালো-সাদা আকাশে পাখির ঝাক
গুঁড়ো মেঘ উড়িয়ে চলে হাওয়ায়।
জুল জুল চোখদু’টো-
তাপ্পি দেওয়া ধূলামাখা কোট গায়
ধীর পায়ে-
চলেছে কোন এক অজানায়
একদৃষ্টে।
হাতে রাখা কালশিটে ছেঁড়া ফাটা কিছু কাগজ-
বুকে জড়িয়ে।
জঞ্জালের ঢিপি খোঁজা-
বুনো কুকুরের ঘেউ ঘেউ; পাড়া বেপাড়ার গলিঘুচি-
ধেয়ে আসা ‘মানুষের মত’ গোল করা তামাশার খোরাক;
অপ্রতিরুদ্ধ প্রলাপে চিৎকার টিটকিরি-
          “রঙ্গিলা পাগলা”।

পানা কচুরিতে হারান দুর্মূল্য-
ঝিঁঝিঁর ডাকে ফেলে যাওয়া সাম্প্রদায়িকতার অশ্লীলতা-
কখনোসখনো ঠোঁটের কোণের স্পর্ধাটুকু জ্বালায়।
বৃষ্টি ভেজা ছাতিমের নীচে দু’হাত তুলে
হৈ হৈ নাচে রঙ্গিল মুগ্ধতা-
          “রঙ্গিলা পাগলা”।
তার চোখে খোঁজার নেশা।
দলা করা কাগজ দেখে দেখে যেন-
এ’দুনিয়ার হিসেব মেলায়।
চটি ছেঁড়া পাদু’টো কখনই-
হোমার, সোক্রাটিস-এর ছাপ ফেলবে না।
গলির অন্ধকার চিঁড়ে রাস্তার চৌমাথায় বসে
খালি খালি কন্ফুসিয়াস খেলা।
রাস্তার ভেপারের কমলা-হলুদ-সাদা-
আলোয় ভেজা –
ছপ্-ছপ্ ডিঙ্গিয়ে চলে আবছা হয়ে-
কোন এক স্পার্টান-
কে?
          “রঙ্গিলা পাগলা”।

এর থেকে মরে যাওয়া ঢের বেশি ভাল।
রঙের এ’পৃথিবী তো বৃষ্টির ছাঁটে-
ধীরে ধীরে সিমেন্ট, লোহা, পাথর হবে।
ফুটপাথের সস্তা লোকের কুঁড়িয়ে পাওয়া খাবার ছোটা-
জলের ছোপ ছোপ দাগে লেগে থাকে-
ভালবাসা-রাগ-অপমান।
পুড়ে যাওয়া মনটার আর কোন প্রয়োজন নেই।
সময় পাল্টায়, রঙ বদলায়-
চাকায় ধূলোমাখা রক্তের দাগ-
আজও শোনায় কোন এক পাগলের গান-
          “রঙ্গিলা পাগলা”।