এ’কেমন ছবি আঁকা জলভেজা পথে-
নিভন্ত বিকেলে খুশির বাষ্প ভরে বেলুনে ওড়ায়
কচিকাঁচার দল; জানে নাকো কোন দেশ বা কোন
আকাশ পেরিয়ে চলে যাবে তা- জানে নাকো
কোন মাঠভেজা পথ চেয়ে ছিল শেষ ট্রেনে ফেরা
স্বামীর নতুন বৌ...তার হাত ধরে ঝড়েছিল
গাছপালার নরম জল; বোলান সবুজ ঘাসে লাফিয়ে
চলেছিল কত ফড়িংরা। কেমনে এ’ভাবেই চলেছিল
আঁকাবাঁকা পথে গ্রামের মাস্টার...
সাজান পড়া-পাঠ ঠোঁটে রেখে।
পাশের আধভাঙ্গা পুকুরঘাট দিনশেষে
করে ফিসফিস; বাঁধান হুকোর টানে,
‘হুক্কাহুয়া’ সুরে বসে চন্ডিমন্ডপের নাচ। জটলা করা
সুন্দরীরা নিন্দে করে খালি, আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে
রাখে, আড়াল থেকে সদ্যজাত কে দুধ খাওয়ায়-
কেটে যায় অনেকগুলো ছবি- বদলে যায় জলছবির
রঙগুলো।
ঘুমন্ত শিশুর বুকে কানপাতা
সময়ের রথচাকা পিষে চলে এক একটা
ঝুলন করা জীবনে। ফেলে চলে স্বপ্নগুলো ম্যানহোলে।
আঙ্গুরের রস ছেলেবুড়ো খায় সকলে- প্রানভরে- নিজের
মতন করে খেতে খেতে নানান স্বাদ পায়-
মিষ্টি কিম্বা টক...কত কথার বৃষ্টি নেমে আসে-
জলকাদা মেখে ঘরে নিয়ে আসে ঠোঙাভর্তি
হরেকরকম শব্দ-কথা-কানাকানি; ভাগ করে পরিবারের
সাথে খায়...আয়েস করে; সাথে থাকে এক গেলাস
সদ্য ভেজান রঙ। এ’ভাবেই এ’জীবনটাও শুরু হয়-
ব্যাপন ক্রিয়ার মতন- ধোয়া ধোয়া হয়ে যেতে থাকে
ভিসুভিয়াসের দিকে; জমাট বাঁধতে থাকে অ্যান্টার্কটিকার বুকে।
গাঢ় থেকে আরো গাঢ় হয়ে জীবনের রঙ...
রঙ দিয়ে খেলা হয়- খেলতে খেলতে কিছুটা মাটিতে পড়ে
নষ্ট হয়ে যায়; তৈরি হয় কটা নক্সা- জলভেজা
পথে।