জোছনাকে আজ আমার ছাদে আসতে বলেছি।
হৃদয় বৃক্ষ থেকে ঝরে যাওয়া শুকনো পাতাগুলোর
মধ্যে থাকা পাওয়া না পাওয়ার অশ্রু বারি
মুঠো করে তোমার সামনে তুলেছি।
তুমি দেখবে আমায় পলক ফেলে
বা মনে মনে হেসে উঠবে এই দেখে-
কেমন করে পাগল প্রলাপ করছি আমি
মরছি আমি, পুড়ছি আমি তোমার বেদনা
বুকে নিয়ে।
তুমি দেখে বলবে “আহা!” বা কষ্টে “উঁহু” করে উঠে
নড়ে চড়ে বসলেও আমায় ভস্ম হতে দেখে মজা পাবে-
পাবে সুখ আমার নগ্ন দেহ ছিড়ে ফুঁড়ে খাওয়া
চিল শকূনের বিজয় উল্লাসে।
আজ সে জোছনায় কান্নার রোল শুনতে পাই।
দেখে যাই কেমন করে ওরা তোমায় ভিতর থেকে
কামড়ে শুষে বেরিয়ে এসে মহান হতে শেখায়-
শেখায় তোমার রক্তে ভেজা তাদের ঠোঁটের কোণটিতে
লেগে থাকা প্রেমের ছিটে ফোটা চাহিদাগুলো
মিথ্যে বলে মুছে ফেলা।
প্রাণের ভয়ে দেখছি, তুমি গুটিয়ে যাচ্ছ
হারিয়ে যাচ্ছ দিনে দিনে আমায় শূণ্য করে
ওই মাঝ সাগরে বা আরও দূরে; ভাসতে ভাসতে
আমায় দেখে হাসছ, কেবল হাসছ।