ছোট ছোট পদক্ষেপ...
পদধ্বনি শুনি-
শুনে শুনে কত কাল বয়ে চলে যায়-
বলা দায়
এ’বয়ঃসন্ধির পীড়ন, দগ্ধতা।
তবু তুমি- ওগো ধীরগামিনী আসো...
আবার আসো আমার প্রাণের ‘পর
স্নিগ্ধ গাছের ছায়া জুড়ে- ধূসর মাটি ফুঁড়ে চাওয়া
জীবনতৃষার বিন্দুমাত্র-‘হে ধরণী কর তুমি বর্ষার আয়োজন!’
বৃষ্টির শীত ঘেরা ঘন জলাশয়ে ঘুমন্ত জলপোকার দল
ঘুড়ে ফিরে বেড়াবে- হারাবে দু’টো মন মিশমিশে
কালো মেঘের ধোয়ায়।
আজি এ’বরষার বারোমাস্যায় ধুয়ে যাবে
সগরের শাপ- মুছে যাবে ছেঁড়া তানের সুরগুলো
কারোর প্রত্যাশায়।
দেখেছি কত কী শহরের গলা পচা রীতি-
বিধির প্রতারিত বন্ধনে বাঁধা আঁখিদুটি- দেখেছি
উথলি সাগর-নদী-দীঘি-
এ’কূল ও’কূল ব্যাকুল।
তবু এ’বিপদসংকুল-
পথ বেয়ে এনেছো তুমি স্বপ্নের ধারা; বুঝেছি
তুমি-আমার কান্নার ডাক শুনিতে পাও...
শুনিতে চাও আমারই যৌবনের
ভেজা সোঁদা একঘরের গল্প-‘রাতভেজা আকাশের দু’চোখ
মুছে যাবে একদিন-
একদিন- জানি একদিন সবে ভুলে যাবে তোমায়; মনে রাখবে
কয়েকটা যৌনমিলন- আর ক’টা অন্ধকারে জীবন’।
'বরষার আয়োজন'