আজও শিশির ভেজা নিঝুম রাতে
আকাশের তারা খসিয়ে তাড়িত করে।
কোন এক বিস্ময়ের মাঝে,
নীরব আমি একাকি-
চেয়ে আছি তার কালো বুকের দিকে।
জানি না সে আঁধারে আমি কারে
খুঁজে মরি-
কী বা এমন মায়াবি টানে-
বাদুড় হয়ে উড়ে বেড়াই।
স্বপ্ন তো জোছনার পাশবালিশের পাশে থেকে
হীরে-মাণিকের মতো চিক্-চিক্ করছে।
অতলজলের আহ্বানে তাকে বুকে বেঁধে রেখে
ভাসতে চাওয়ার মিথ্যে প্রয়াস- যেন
শুকনো পাতার খস্-খস্, কাঁদা মাটির
থপ্-থপ্ এ শোনা যায় মরণের পদধ্বনি-
তারই পায়ের তলায় লেগে থাকা বোধে
আবার আমি গড়ে উঠি;
বেড়ে উঠি তার শান্ত-শীতল দীঘির
ঘন জল খেয়ে।
অবাক হচ্ছ! ব্যর্থ সাফল্যের প্রমাণগুলো
থাক আজ পুরনো কাগজে মুখ গুজে;
ওজন দরে বিক্রি করে দেব।
সমাজের রৌদ্র-ছায়া যুগপথে-
পা বাড়িয়ে আবার ছুটব, হাঁটব, হাঁপিয়ে উঠবো-
শান্ত-স্রান্ত হব-
আবার চলব।