কী এমন দোষ করেছি-
কারই বা পাপের বোঝা বয়ে চলি
আমি একা...ফাঁকা রাস্তায়...চৌমাথায় বা পাড়া-বেপাড়ার-
এঁদো-সোঁদা গলি...অন্ধকার পাঁচিলে লিখে রাখা কিছু বেনামা খিস্তি-
জলের দাগে...জঙ্গ ধরা শরীরে-
          আমি...হ্যা আমিই!
তোদের শহর,ট্র্যাফিক,ম্যানহোল,নীলদীঘির নেপথ্যে রাখা কত-
রংবেরঙের স্বপ্ন, ছায়া, বাতি-
          আমি তো চাইনি!
আমি তো চাইনি তোদের দায়বদ্ধতা-
সীমাহীন সীমাবদ্ধতার মাঝে মাঝে ফিক্ ফিক্ করে হেসে ওঠা-
“Liberty, Equality, Fraternity”-র উল্লাস।
ঢোল,কর্তাল,শঙ্খ বাজিয়ে...কালো কাপড়, পতাকা-
মৌন...চুপ চুপ...ফিস্ ফিস্।
মোড়ের মাথায় ঘটা মোমের সারি-
          আমি তো চাইনি!

কার জন্যে আছি আমি...সত্যি কার জন্য?
আমার যত বুদ্ধিজীবি, আমার যত ওলা-ওটা...
দুরন্ত দুপুরে কাগজের নৌকো ভাসান জল... আমার শহর,
পীচের রাস্তা...আমার লাল-সবুজ সুখ,কষ্ট,আনন্দ-
          আমি তো চাইনি!
লাদাখ,হিন্দুকুশ,বোলান...থুড়ি থুড়ি...ওসব তো ওদের জিম্মায়-
ভুগোলের মোটা বইটার কালি ভেজা ছেঁড়া পাতা ভেসে যাক-
কিছুটা সিন্ধুতে...ধুয়ে যাক কিছুটা গঙ্গা-পদ্মায়।
আমার লেখাগুলো না জানি কী ভেবে ভেবে আজ জানালায়-
বসে আছে... থম্ মেরে...জানি না কী চলেছে ওদের মধ্যে।
রিভলিয়ুসান্...শান্তির রক্তাক্ত বর্ণপরিচয়...ও’সব ভাব-টাব-
জমাট বাঁধা কালি...সিগারেটের শেষ টানে নিঃশেষ ধোয়ার রেশে-
আমি...আমার আমিত্ব-
          আমি তো চাইনি!

“প্রভাবশালি,বীরবিক্রম,মুকুটধারী”-
মুখ্য-গৌন-প্রধান-অপ্রধান...যত্তসব ‘পাগলা চো...’।
গণতন্ত্রের বুলি আওড়ানো ওরা...ওদেরই শোনানো-
‘ওরা-আমরা’-র  এটো গল্প শুনে শুনে-
রাত জাগা কালি ধরা চোখের ভাষা হারা বেদনা কে চেয়েছিল?
আমি বিশ্বাস হারিয়েছি!
ওদের মত হতে শেখা-মিথ্যে মিথ্যে সাজা...
ভাঙ্গা সন্ধ্যা...দস্তুর বেদনা কখনই-
বুঝিয়ে বলতে পারবে না............
ভাষা ভাষা কিছু আশা জাগা রাতের তারাভরা আকাশ-
আজ...এইমাত্র...”Sky beyond the stars” ।
গোল করা এলোমেলো স্মৃতি আজ বোবা আঁধারে কথা বলুক...
চীৎকার করুক...জোরে...আরো জোরে...
এমন সুযোগের আশায় আশায় না জানি কত...
কত “দিবস রজনী” কেটে গেল...কেটে যাবে-
প্রশ্ন করি নিজের কাছে...জানতে চাই-
ফিউডালিজম্ এর মত কিছু কানাঘুষো কথা...
যন্ত্রণা মন্ত্রণা...কে চেয়েছিল?...কে?
          আমি তো চাইনি!