আমি যাচ্ছি-
দেশে দেশে, নগরে নগরে
বিজনে, শহরে।
রাজপথ ডিঙ্গিয়ে উড়ে চলেছি-
কোন এক অনির্দিষ্টের তাড়া খেয়ে।
পাখির ডাকে মিশে যাওয়া মেঘের মদিরায়-
কখনো বা রঙিন মাছ সেজে
ঝপাৎ করে ঝাপ্ দিয়ে রোদ কণার স্রোত গিলি।
কিম্বা হাসনুহানার গুঁড়ো গন্ধে-
কখনো বা “কাঁজলাদিদি” ছুটে আসা-
হু হু মাঠে বকুলের ডাল গুনি।
“হে মোর চিত্ত পূণ্যতীর্থে জাগোরে ধীরে...” ইত্যাদি-
রবীন্দ্রজয়ন্তীর হলুদ লেখাগুলো ছড়িয়ে যাবে উঠোনে।
চাঁদের আলোমাখা জুঁই-মালতীর বাগান-
হালকা হাওয়ায়-
“ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি?”
অদৃষ্টের ছায়াপথ-
কাঁদামাখা পায়ে হেঁটে বেড়ায়-
জীবনের সবুজ-হলুদ ঘাসে।
ঘেন্না ধরায় এমনি;
বা নিদারুন উচ্ছাসে জাপটে ধোরে-
শুধুই ভালবাসে।
কাগজে লেখাজোঁকা আঁকিবুঁকি-
মন্-ফকিরার ইলাহি-
গাঙ্গেয় ব-দ্বিপে মেশে।
ফেনা ফেনা সাগরজল, ‘লোনাবালি’-
গাংচিলের ডাক-
এ’সকলি নিভে যাওয়া প্রদিপের গায়ে লেগে লেগে-
শুকিয়ে যাবে।
হাজার বছর কালো সন্ধ্যায় শাঁখ পড়বে না-
জানালার ফাঁকে দেখা ছেলেটা-
অকারণে উইলিয়াম ওয়ালেস সাজবে।
আমি যাচ্ছি।
প্রভাতের সোনাগুলো লুটে নিয়ে-
ফেরি করব-
মক্কা-মোদিনা-জেরুজালেম-এ।
হাততালি কুড়নো বিকেল মেখে-
ডুব দেব থেমসে।
শহরের এঁদো গলি বেঁয়ে পাওয়া-
ছেঁড়া রুটি ভিজিয়ে খাব।
নালায় উগড়ে দেওয়া খাবারের টুকরোগুলো-
ভাসতে ভাসতে দেখব-
মানুষ হতে শিখব।