আজও সেথা নীলের কূজনে
ফিরে আসে বেপরোয়া স্মৃতি
           মাথার ভিতরে।
কালের ঘূর্ণবাতে বেলা-অবেলা হল সারা।
ধরণীর বুক চিঁড়ে
সভ্যতার সাগর তীরে
আবার ফিরি গাঙ্গেয় পথ চেয়ে।
রুদ্ধ মনে ঘটে শুধু
বিস্মৃতির ডাইলেমা।
জীবনের প্রথম চুম্বন ঘিরে
রাখা প্রণয়াবেগ,
আজও সৃষ্টি-সৌধের
          জঙ্গমতায় অনিকেত।

কী এমন বলিদানের সুর রক্তে মিশে থাকে!
আজও যোনিচক্রের প্রাণাহুতির নিশিডাক
আমায় তাড়িত করে।
          আঁকড়ে ধরে।
হাজার ভিড়ের মাঝে আঙুল তুলে তাকায়-
জানায় শুধু শরিরের ভেজা গন্ধে মাদকের মরণ নেশা
          অনর্গল-
সে এমন আত্মবিহ্বলতার মাঝে
আজও দেখায় অন্যের ঠোঁটে আমার আত্মচ্ছাস।

“তিমির অবগুণ্ঠনে” একাকি আমি
তারামন্ডলে কোন একটি তারার
খোঁজে ভেসে বেড়াই।
জীয়ন কাঠি ছুঁইয়ে একাই বাঁচতে চাই।
আজও মিটমিটে বাতি, চাঁদের আলো
গল্প শোনায়-কোন এক আকাশ কোণে
          নির্জনতায়।
শোনায় পাখির ডাক-
          অন্তরঙ্গে।
বিলাসে-ব্যসনে মিশে থাকা যত পাপতৃপ্তি
আজও শুধু ধোয়ার মত ঘুরে বেড়ায়
          বিছানার চারপাশে।


সোহাগের প্রবঞ্চনা-
ব্যর্থ দুগ্ধস্তনের মরণার্তি
যেন বালুকণার ন্যায়
আজও ঝড়ের মুখপানে চায়।
দেখিয়ে দেয় কেমনে প্রসূতির
কালো আঁধারে ধিকে ধিকে জ্বলছে
          শতকোটি প্রাণ-
অমরার নির্যাস-
আজও গোনে নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গের রাত।