ঘটনা কাল ১৯৮৫-১৯৮৮ রচনা কাল ২০১৬

পোষের সোনালী রোদ উঠার আগেই
শেখের ব্যাটার সোহাগ মাখা ডাক
কি বাজান তৈরি হওনাই অ্যাহনও
আজ না ধান কাটার কথা
সেই দক্ষিণ চকের ক্ষ্যাতটার।

দেরি কইরোনা বাজান,
রান্না হলে মায়ের,
ভাতের গামলা নিয়্যা আইয়্যা পর তারাতারি

কাস্তের ধার দেখতে দেখতে ডাকে--
কই মিয়াজি কামলারা সব কনে?
হুক্কা অ্যালসা তামুকের ডিব্বা
সব ঠিকঠাকমত নিছেন নাহি?

বলেই শুরু করে হাঁটা
গ্রামের সুরু পথটা ধরে
সারা রাত ধরে জমা ঘাসের কুয়াশা ভেঙ্গে
মিনিট পনের হাঁটার পরে
দাঁড়ায় গিয়ে ক্ষেতের আইলে।

শুকরিয়াটা জানায় আল্লাহকে!
সেই সাথে ধানের সোনালি শীষের দোলা
মিলায় তাঁর বলতে না পারা দীর্ঘশ্বাসে।

সকাল দুপুর পেরিয়ে বিকাল
আভিরাম হাত আর কাস্তের প্যাঁচে,
ধানের আটিঁ গুলি সব
সারি সারি দুই ভাগে।
এক ভাগ নেয় সাহার লোক
আর অন্যটা কর্মকারের।

কি বাজান আমরা পামুনা!আমাগো ভাগ কনে?
প্রশ্নটা তাঁর নাবালক ছেলের।
বাজান আমাগো ভাগ আছে,
ঐ দুর বিদ্যালয়ে-বুকফাটা দীর্ঘশ্বাসে
উত্তরটা দেয় সে তার নাবালক ছেলেকে!!

অবশেষে ঢলে পড়া
সূর্যের লালছায়া ভেদ করে
বাড়ি ফিরে সে-ছেলেকে কাঁধে করে।