সংসার যেন তার রাবনের চিতা,
ক্ষয়ে গেছে স্বামী তার নিয়েছে বিধাতা।
রঙ ঢং মুছে; গতরে বিধানের কাপড় সাদা,
অলক্ষুণে মেয়ে তুই; বলেছে ঠাকুর দাদা!
এভাবেই সমাজে বাসন্তীর হয় পরাজয়,
মোড়ল- মদ্দারা ঘৃণার ছুরিকাঘাতেই ছিনিয়ে নেয় জয়!
শোকের নদী বাইতে বাইতে তার হবে কি জীবনের ক্ষয়?
কে আছো ভাই বাসন্তীকে দাও অভয়!
সিদ্ধ নিয়মে কেটে যাক তার বাকী যৌবন,
যেন না হয় তা বিতর্কিত-নিষিদ্ধ মৌবন।
অনুরোধ হে ব্রাক্ষ্মন ঠাকুর গন,
কর্ণ খুলে করিবেন শ্রবণ।
সখিনার বিয়ে হলো বয়সে কুড়ি,
বছর ঘুরতেই প্রসবে তার হলনা দেরী।
অজানা রোগে আবার স্বামী গেল ক্ষয়ে,
দুখের অনলে কাটে দিন ছা'টারে লয়ে।
সখিনা গেল কাজে পেটের ক্ষুধায়,
বেপর্দা মেয়ে নাকি? পাড়ার মোরল শুধায়।
কতো দিবা-রাতি সে রয়েছে অনাহার,
তবু্ও খোঁজ নেয়নি কেউ বারিয়ে আগ তাহার!
সখিনা এখন পড়েছে নুয়ে;চব্বিশ বসন্তের সম্ভারে,
প্রেমহীন যৌবন তবুও দানে'নি কাহারে।
সহসা পারার যুবক দিল প্রস্তাব;করবে তারে বিয়ে,
আগেই কয়েছিলাম বেপর্দা ও; মোরল গেল ধেয়ে!
একে দুয়ে চারে পাঁচে হলো সবে জানাজানি,
চরিত্রহীনা সখিনা সে; বহু ঘরের ঘরণী!
অপমান-অপবাদে মিলে হলো মোটা দড়ি,
নিশীথে নিভৃতে গেল সে দুনিয়া ছাড়ি!
##এ সমাজে জার স্বামী মারা যায় সেই একমাত্র বোঝে যে, একাকিত্বের কি অসীম বেদনা কি ভয়ানক ক্ষত! জীবন যুদ্ধে বারবার হেরে যায় এই সমাজের নীলচক্ষুর ক্ষিপ্র দৃষ্টিতে। একজন বিপত্নীক
যেমন অতি সহজেই তার সঙ্গিনীকে খুঁজে পেতে পারে বিপরীতে একজন বিধবা তা পারে না। সে ইচ্ছা পোষণ করলেও নানান অপবাদ সহ্য করতে হয়। বাধ্য হয়েই নাম না জানা সখিনারা বেছে নেয় জীবনের নিষিদ্ধ আধার।