পাখির মতো উড়তে উড়তে
বুঝতে পারি, বয়স কমে যাচ্ছে।
আনন্দ লাগছে, মেঘ।
স্ত্রীয়ের ঘুমন্ত চোখে তাকিয়ে
মেঘবালিকার কথা
করোলার ধারে খোলা চুল
সব, সবকিছু আমাকে পাগল করে দেয়।
অনেক প্রেমের গল্প লিখতে চাই।
সে সব প্রেম আমার করা হয়নি,
হবেই বা কেমন করে!
তখন রুটি রুজি,
লড়াই করে জীবনে প্রতিষ্ঠার জন্য
বাঙালির কচ্ছপ হয়ে ওঠা।
যাই হয়ে যাক আমাকে টপ টপ টপ
নায়ক হয়ে উঠতে হবে কালো চশমায়।
এই তো অনেক দিন পর
পাখি হয়ে রে ব্যান পরে বসে আছি।
কী পাগল না আমি!
এই আকাশচূড়ায় রোদচশমা।
আসলে বাস্তবের তিস্তাকে নয়
আজীবনকাল ইংরেজদের মতো করে
থেমস নদী ভেবেছি বটতলার ঘাটটাকে।
এবার লন্ডনের হুইলে উঠে
বুঝতে পারলাম
বিদেশিদের মতো করে নয়
এর পরের উপন্যাস লিখব
বাঙালি প্রান্তিকদের মতো।
কত কাল বাঙাল ভাষায় প্রেম করা হয়নি।
ঘুম ভেঙে উত্তমার্ধ বলে উঠল
বাঙাল ভাষায় কী কইছ, মরণ
ওত্তো ভোরে উঠাছি, ঘুমাও দেখি।