তোমার ইশারার মতোই শুয়ে ট্রামের চিহ্ন
কতবার ডাক শুনেছি জল আলপনায় ভিন্ন।
গতিপথের টুংটুং ধ্বনি নুপূরের মতোই জেগে
একটু মস্করা করলেই লাল হয়ে যেতে রেগে।
তবু ট্রামের বিনুনি বেয়ে নামত বর্ষার ঢেউ
তোমায় চুমুও খেয়েছিলাম, দেখছিল কেউ!
ট্রামের ঘরঘর শব্দে ভোর চারটের ঘড়ি
দিয়েছিলে উপহার, বানানো তোমার বড়ি।
ঘুড়ি তো কবেই কেটেছে পেটকাটি চাঁদিয়াল
জীবনানন্দের মতো হতে পারলাম কই কবিয়াল।
তবু বিদায়বেলার ট্রামে উঠেছি ছাতার সাথে
কিং সাহেবে দেওয়া কলম ও জ্যোৎস্না রাতে।
আচ্ছা তুমি কী ফিরেছ রাজপথ জুড়ে এলোচুল
ট্রাম চলে গেলেও থাকবে আত্মায় তুমি বিলকুল।
অপেক্ষা পর বলবে, শুনছ মান্থলি করেছি
বলব হেসে, কলকাতাতেই চুমুটুকু মেখেছি।
হাসি উঠবে ট্রাম জুড়ে, অফিস-বাস যাবে থমকে
বুড়ো বয়সে দেখতে পেলে চিনবে কী সোম-কে...