সব রামায়ণ ভিজে গেল,
সব রামায়ণ ভিজে গেল।
বহু আকাঙ্খিত যাত্রাপালার মধ্যেই
তেড়ে বৃষ্টি নামল উত্তর কলকাতায়।

রামায়ণ দেখতে দেখতে
চোখে জল, মনে উৎসাহ
স্পিকটিনট হয়ে যাওয়া কলকাতা
উদযাপনের সমানই ছিল।

তুলসীদাসের রামায়ণ গাওয়া
হাতে টানা রিক্সাওয়ালারা
এখন কমে এসেছে, অন্য পেশা
ভাড়িওয়ালারাও নেই বললেই চলে।

একটু কিছু বাড়িতে বেফাঁস বললেই
রামায়ণ মহাভারত শুনিয়ে মা যে কী আনন্দ পায়
তা বোঝার আগেই দেখি চুপ হয়েছে কলকাতা।

রামায়ণ থেকে রাম, রাম থেকে হনুমান,
হনুমান থেকে মহাভারত,
এসবের ভিতরেই ইচ্ছা করে ছবিতে রামায়ণ
বইগুলো পরবর্তী প্রজন্মকে দিয়ে যাই,
নিয়ে যাই নতুনের চোখে
নিজেদের স্বপ্নগুলো।
ধুর ধুর ধুর, ওরা তো মোবাইল ইউটিউবে ব্যস্ত
কার্টুন এসে গ্যাছে বহুকাল,
এখন তা এআই দ্বারা উন্নতির শিখরে
আর আওয়াজে
বলিউড কাঁপিয়ে দিচ্ছে সবটুকু।

সব রামায়ণ তবু ভিজে যায় কখন জানেন
যখন বেলুড় মঠের সন্ধ্যা আরতি শুনি
চুপ করে বসে। সব কিছু ভুলে।
একই দেহে মিশছে রাম ও কৃষ্ণ
সেখানে জানেন কোন ধর্ম, ভোট, তাচ্ছিল্য
রক্ত হানাহানি কিচ্ছুটি নেই।

এসব ভাবতে ভাবতেই কখন যে
ট্রেনে করে রামশ্বরাম চলে এসেছি
বুঝতেই পারছি না ঘুমের ভিতর,
ভোর হচ্ছে, জেগে উঠছে কলকাতা
জেগে উঠছে ভারত
জেগে উঠছে রামময় এক বিশ্ব।