ওক গাছের ছায়াটা
বাবুপাড়ার পেয়ারা গাছের মতোই
আরাম দিচ্ছে নরম শীতে।
একাকী কবি হয়ে উঠছি
শেক্সপিয়ারের দেশে।
সামনের রাস্তা পেরোলেই
রঙ্গমঞ্চ আজ হ্যামলেটের জন্য প্রস্তুত।

মাঝে মাঝে ঝিমুনি আসে
দোসা খাওয়ার ঢেকুড়ের মতোই।
অনিবার্য সুখ এখন লেগেছে কলমে,
ডুলুং নদী আর গেলিস শীত ঘুমে
আমার আরাম এখন তাকিয়ে লাল পতাকায়।

একুশে জুলাই অমর একুশে হলে
আমাদের বাংলা ভাষা দিবস
কী ভেসেছে করোলার জলে?

বড্ড রাগ হয়, বড্ড।
যতই বলি বিন্দাস কাটাচ্ছি জীবন
বামপন্থার উপর রাগ হয়
আবেগ আছে, ফলাফল নেই,
যেমন বরফে ঢেকেছে কবিতার মেলা।

তবু খবর পেলাম পেয়ারা গাছ অক্ষত,
বন্যা বৃষ্টি বিশেষ ক্ষতি করেনি
খড়ের চালা দেওয়া চা ঘরের।

ছেলে বলছিল এবার তিস্তায়
রিল বানাবে বৌমাকে নিয়ে,
আমি বললাম ওসব হচ্ছে না
উত্তমার্ধের সাথে কর্ণকুন্তীর সংবাদ পাঠ করব
ভিডিও করে দিতেই হবে বৌমাকে।

বৌমা হেসে বলল,
আগে কবিতাটা বুঝতে হবে,
আমি মনে মনে ভাবলাম
মা আর সন্তানের বাক্যালাপ
বোঝার সময় এসেছে এবার, বৌমা!