সারা দিন কত্ত কাজ,
মন্দির ঘরে এসে
এদিক ওদিক যাওয়া,
বাগান পরিষ্কার,
নতুন গাছ আবিষ্কার
বাড়ির ধুলো মিলিয়ে দেওয়া
শরতের নীলাকাশে,
তবু আমার দিকে তাকালে না।
এই পাঞ্জাবিটা সে বছর
তুমি কিনেছিলে বাসন্তিদেবী কলেজের
উল্টো ফুটপাত থেকে।
ভাবলাম একবার পরি,
তাও পাঞ্জাবিটা দেখলেও না।
সন্ধ্যায় চা খেতে খেতে বললাম
কিছু বলবে!
তুমি বলে উঠলে,
কী হয়েটা কী তোমার বলতো
সকাল থেকে একই কথা
বলেই চলেছ,
কিছু বলবে,
কী বলব তোমাকে।
হ্যাঁ যাও, সামনের দোকান থেকে
সিঙাড়া, ভেজিটেবিল চপ আনো।
মুড়ি মাখছি।
আমিও পাঞ্জাবিটা ঠিক ঠাক করে
পাড়ার মিষ্টির দোকানে ঢাকে শব্দ হয়ে গেলাম।