কবিতা বলছে তার আর ভয় নেই। কবিতা সে লিখতে শিখেছে। হাত তার খুলেছে। বয়স হয়েছে বলে নাকি সুন্দর কবিতা আসবে। কি মুশকিল। কবিতা কখনও এই ভাবে আসে। আর কবিতা সুন্দর কিনা তা কি এভাবে বলা যায়। কবিতা তার নিজের মতো চলতে থাকে। কবিতা তার নিজেস্ব গতিপথ খুঁজে নেয়। কবিতা তো মনের অনুভূতি। তা প্রকাশিত হয়ে যায়। কবিতার ভিতরে রয়েছে কবিতার জন্য অগাধ ভালবাসা। তবু কবিতা চুরি হতে শুরু করে। কবিতা ভালবাসতে শুরু করে। কবিতা কথা বলতে শুরু করে। কবিতা জানে কি চাইছে। তাই করিয়ে নেয় কবির কলমে। কবিতা তার নিজস্ব গতিপথে চলতে থাকে। কেউ বোঝে, কেউ বোঝে না। কেউ ভাবতে থাকে, কেউ ভাবে থাকে না। কেউ শুধু লেখার আনন্দে লেখে। লিখুক। ক্ষতি নেই। বাংলাতেই তো লিখছে। ভাষা উদযাপন হোক। দ্বেষ ও দেশ ভুলে লেখাটা চাই, খারাপ শব্দ নয়।
কবিতা ভয় পায় না। তাই তো সে কোনও দেশকে ছোট করতে চায় না। যারা ব্যবসা ও পাবলিসিটি চায় তারাই নানা ভাবে কবিতার বিরোধীতা করে।
এই যে ব্যান্ডের গান, তাও তো প্রথমে কবিতাই ছিল। পরে তা কবিতায় সুর ও অভিজ্ঞতা ও সময় উন্মাদনা পেয়ে রূপ নিয়েছে অন্য শিল্পে। কবিতা মা। তারপর বাকি শিল্প চলতে থাকে। এভাবেই যুগ যুগ ধরে পেরিয়ে আসে কত বিপ্লব। কত স্বপ্ন। কত চেতনা।
যুগ পাল্টে যায়। পাল্টে যায় সময়। আর সময়ের সাথে জেগে ওঠে নতুন দ্বীপ। কবিতার দ্বীপ। দারুচিনি দ্বীপ। সেই দ্বীপে স্বাধীনতার আনন্দ আছে। লেখার আনন্দ আছে। প্রকাশিত ভাবনার আনন্দ রয়েছে। এ এক চেতনার এগিয়ে চলা। কবিতার রূপ পাওয়া। অরূপে।