কবিতার যেমন নিজস্ব পথ রয়েছে, তেমনই বাঘও হেঁটে চলেছে। ধূসর কবিতাও তেমনই জীবনের দুঃখদের নিয়ে এগিয়ে চলে। বর্ষার মাস ধরে বাঘও খুঁজে চলে ভালবাসা। এই ভালবাসাই নতুন করে ভাবতে শেখাচ্ছে জীবনকে। সেই জীবনেই আসল কবিতা লুকিয়ে থাকে। কবিতার পথ তো এই বাঘের জীবনেও লুকিয়ে। বাঘ বাঁচার জন্য শিকার ধরে। কবিতাও বাঁচার জন্য পাঠককে আকৃষ্ট করে। বাঘ এগিয়ে চলে। বাঘ যেমন শিকার খোঁজে, তেমন বাঘের যাপিত হাঁটা-চলায় কবিতা বলতেও জানে। কবিতা বলে মানেটা কী? মানেটা হল আমরা নিজেদের ভাব প্রকাশ করতে কবিতা লিখি। দুঃখ, কান্না, হাসি। আর বাঘ যখন হেঁটে যায়, অন্যান্য জীবজন্তুরা তটস্থ থাকে। কখন প্রাণ যাবে। তাই অন্যান্য প্রাণীদের কাছে তখন দুঃখ, কান্না, হাসি। কবিতাও মায়া মমতা বোঝে। তাই কবিতার মতো বাঘের মনেও সেই মায়া মমতা রয়েছে। সে তো তার শাবকদের দুধ খাওয়ায়, চেটে গা পরিস্কার করে দ্যায়। কবিতাও তেমনি সমাজের কথা ছোট্ট করে মানুষের মাঝে উপস্থাপনা করে। বোঝে না অনেকেই। আবার অনেকে বুঝতে পারে। এভাবেই বাঘের সাথে কবিতা, কবিতার সাথে বাঘ এগিয়ে চলে। বাঘ তো মনন, বাংলার বাঘ, বাঘের মতো মহারাজ। সেই দৃষ্টান্ত ধরেই কবিতাও তো মনন কথা। কবিতাও বাঘের মতো মানুষের মনে স্থান পায়...লাইনটি মনে পড়ে....অবনী বাড়ি আছো?
আলোচনাটি ৫০৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ১৪/০৭/২০১৬, ০২:২৮ মি: