কবিতার ভিতর হিংসের বাস। এই যে আমার লেখার ধরণ। তা অন্যের হিংসের কারণ হতেই পারে। আসলে সকলেই নোটস পড়ে শিক্ষিত। তাই সকলেই নিজের নাম উজ্জ্বল করতে চায়। টুকলি তো সবাই করেছি। কত ট্যাকের টাকা খসিয়ে ডিগ্রি পেলাম। এবার নাম চাই। টাকা চাই। এক অদ্ভুত হিংসে মনে গভীর। এসব ভেবে কবিতা লিখলে সত্যি বলছি হাফিয়ে যাবেন। কবিতা যে দান করতে জানে শান্তি। সে তো হিসেব বোঝে না। যে হিসেব ব্যবসায়ী প্রকাশ আজ আপনাদের বোঝাচ্ছে। কবিতার কথারা তো এসব বোঝে না। কবিতার মন আত্মা তো শুধু বলতে চায় আত্মদহনের ক্লেশ। সমাজে যা ঘটছে। সেই সব অসহনীয় অস্তিত্বদের কথা। খুব কষ্ট বা আনন্দ হলে -- কবিতা আসে। কিছু চৌত্রিশ বছর জীবি রাজনীতিকে নিয়ে লিখতে চান, তারা লিখতেই পারেন। কবিতায় রাজনীতি এসেছে আবহমান কাল ধরেই। তবে কবিরা মানুষের কথা বলেছে। মাটির মা...বানাতে চায় না কবিতা। কবিতা চায় মুক্তির অবকাশ। আর সত্য কবিতাই চিরকালীন।
.
ঐ যেমন সমাজবদ্ধ ওল্লা পিঁপড়ের দল। এই গরমে খাবার খোঁজ করে। দলছুটরা আমাদের আঘাত লাগলে কামড়ায়। ওল্লার নামটি নিলাম কারণ ওল্লার পিছনটি টিপলে বিষ বের হয়। মানে আত্মদহনের বিষ আগে থেকেই ক্ষুদ্র জীবেও রয়েছে। প্রায় ৯০ শতাংশ পিঁপড়ের কামড়ে জ্বলন হয়। এই বিষ থেকেই বোধহয় কবিতার উপত্যকার সৃষ্টি হয়েছে। ঐ যে বিষগুলোকে আত্মার দহনের পরে যেমন ছাই করে ভাসিয়ে দায় ভাটিয়ালী সুর। আসলে মনের বিরোধ, মনের বিচ্যুতি তো থাকবেই। আর তাই সৃষ্টি হবে আমার আপনার কবিতা। রোজ। ভরে যাবে কবিতার প্রদেশ। দেওয়ালে দেওয়ালে কত কবিতার প্রচেষ্টা। ভালই লাগে। তবে আমি তো বিষ গ্রহণ করতে চাই, সব দোষ ধারণ করতে চাই। কষ্ট চাই। তবেই তো সত্য একটা কবিতার জন্ম দিতে পারব। তবেই তো সেই কবিতা নিয়ে পৌঁছাবো কবিতার উপত্যকায়...পাঠকের কাছে। হাঁটছি আমি সে অসংলগ্ন অন্ধকার ধরে। প্রকৃতির বুকে। উদয় অস্ত দেখব বলে। হাঁটছি আমি অসীমের সৌন্দর্যে নারীর ওষ্ঠ চুমু, দূরের মায়ের পদধূলি স্পর্শ করব বলে। কেউ ম্রিয়মাণ শিখর ছুঁয়েও, কেউ বা শুধুই ছবি। কবিতার সংকল্পগুলো জানতে হবে। তবেই না পৌঁছানো যাবে সেই উপত্যকায়। আসুন সকলে বুঝতে শিখি অব্যক্ত, বিমূর্ত এই যাপন। যাপিত জীবনটাই তো কবিতা। এখনও অবধি যা লিখেছি সবই তো না-কবিতা। নিজের তৈরি শৈলীগুলো কোনও কালে পরিচিত হবে কবিতার ধরণ হিসেবে। বড় হবে কবিতার উপত্যকা...আমার মিথ জন্ম তা দেখবে আর কাঁদবে...
#হাফ_বরফি ২
~~~~~~~
ছন্দগুলো
বলে যায় সুর,
সুরগুলো বলে যায়
বিরহবেলার কাব্য প্রচুর।
সুখহীন কাব্য যাপনে
প্রেমসুরার নুপূর,
বিচ্যুতিমন...