(এই অভিযানটি বিজ্ঞান ও পুরাণের মিলন, তাই ধৈর্য নিয়ে পাঠকগণকে সমস্ত ভাগগুলি পড়তে বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইল)
.
কবিতা উপত্যকার খোঁজ চাই। কেউ কেউ বলে এখানে কবিতার উপত্যকা নেই বাপু। কবিতার শহর, নগর, বন্দর, গ্রাম, গঞ্জ কিছুই পাওয়া যায় না। সেই কবে কে একজন ওয়েস্ট লান্ডের মতো বিখ্যাত কবিতা লিখে চলে গেছে। কবিতার শহর বা গ্রাম যাই হোক না কেন আমি তো তা খুঁজেই চলেছি।
.
আমার মনের মধ্যে যে কবিতার শহর আছে তার সাথে মিলিয়ে নিতে চাইছিলাম। অনেকে বলে বা বলেন বেশ। অনেকেই বলে অনবদ্য সে শহর। কিন্তু আমি জানি আমার বুকের শহরটা প্রাণহীন। নিস্তব্ধতা। প্রশংসাকারীরা বলে -- কথা বলে আমার শহর। কবিতা এত সহজে কথা বলে! জানি না। অনুভূতির অনুভবগুলো এত দ্রুত নিউরনে সাড়া দেয় কিনা! আমি তো নশ্বর আলোকবর্ষ ঘুরছি...পেলাম না তো। এই যে আমার কলম কবিতা বলে তা তো যোগ্য বক্তা-শ্রোতা পেল না। আসলে কবিতার শহরে সবটাই একতরফা। তোমরা সে সব পোস্ট দেখো...কেউ কেউ বলে বটে দূর থেকে মন দিয়ে খুঁজুন ঠিক কবিতাও পাবেন, কবিতার শহরও পাবেন। মন দিয়ে খোঁজাটা তাহলে এখন মোদ্দা কথা।
.
কবিতা চায়, শ্রোতা। শ্রোতা চায় সুবক্তা। সুবক্তা চায় উপত্যকা। উপত্যকা চায় কবিতা। এই ভ্রমণ পথের হিমশৈল চূড়াই আসলে কবিতার উপত্যকা। যা আরোহণ-অবরোহণ দুটোই বড় প্রাণঘাতী। তাই কবিতার উপত্যকা আমার ছুঁতে বড় ভয় করে। সে উচ্চতা যে অহংহীন নৈস্বর্গিকতা। সে উচ্চতা মানবতার উচ্ছাসহীন উদযাপন। সেখানে যে অবস্থান করে কিছু পতাকা। যা কিছু কিছু মানুষ ছুঁয়ে আসে...কখনও কখনও। সেই কবিতার উপত্যকার যাত্রী আমি। অভিযাত্রী তো বিরল শব্দ। ভাষাশ্রমিক তো পৌঁছাতে পারবে না...তাই মন দিয়ে সেই বরফ শীতল শান্তি পথকে অনুসরণ করবে, কিছুটা। শেরপারা এগিয়ে যাক অভিযাত্রীদের নিয়ে ঐ উপত্যকায়। আমি শুধু খুঁজতে থাকি কবিতার শহর, নগর, বন্দর...তোমার ঠোঁটে। জানি যত দুঃখ তুমি দেবে তত কবিতার রসদ জমা হবে মনে। আর সেই মন দিয়ে খুঁজে যাব। পুনঃ মুসিক ভবঃ....চক্র চলবে। আবার ঘুমিয়ে যাব ঘুষ-উপত্যকায়। হয়তো স্বপ্নে সেই কবিতা উপত্যকাকেই খুঁজে পাব। শুনছ...তুমিও শুনতে পাচ্ছ... ঐ অশ্রুবিন্দুর গহীন বক্ষপিঞ্জরে মনে হয় কবিতার শহর আছে...। কবিতার চেতনায় সমস্ত শক্তি উপলব্ধ হয় যা অব্যক্ত। তাই শ্রী রামকৃষ্ণ বলতেন – আমিটাকে খুঁজে পেলাম না দেখছি সবটাই তুমি মা। যা চরম স্থির শূন্যতায় জ্ঞানের অনুভবতা হীনতার শক্তির মধ্যে অনন্ত শক্তির এক অংশ অনুভূত হয়। কি এই এক অংশ তা ক্রমশ প্রকাশ্য পরবর্তী ভাগগুলিতে। তাই পাঠক কবিতার পথে....সাথে থাকুন বিজ্ঞান ও পুরাণের মিলন আমরা ঘটাবই।