ঝাপসা কাচের আড়ালে দুঃখকষ্টরা
দলা পাকিয়ে আছে স্ত্রীয়ের হাত চেপে।
শাখা পলার আয়ুপথে, দীর্ঘনিঃশ্বাস
শোষণ করে নিচ্ছে প্রিয়, আমার না-পাওয়া।
দুজনে আর কতকাল
টেনে নিয়ে যাব এই সংসার ভার।
বড্ড একাকী দিনযাপনে, কাশফুলগুলোর মতো
ভেসে চলি কচুরিপানার প্যান্ডেল গন্ধে।
নারকেল দড়ি, ত্রিপল, বাঁকা পেরেক,
হাফপ্যান্ড, হাতে ক্যাপ বন্দুক
আর একটা রঙিন চশমায় হারিয়ে যাই।
ফিরে আসে শৈশব,
ট্রেনের জানলায় কেবল মায়ামুখ
ভিড় করে মা-বাবা-জ্যেঠা-মাসি, কতমুখ।
এরই মাঝে ঢাকের শব্দ
প্রিয় ক্যাপসুল আলু, বোরোলি মাছ
তিস্তার গন্ধ মাখা আয়ুবাতাস
করলার মরে যাওয়া ব্রিজ
সামনে এসে দাঁড়ায়।
ঐ তো একটু আগেই কে যেন
ব্রিটিশদের মারবে বলে
ছুটে চলে গেল।
আচ্ছা এটা কী তবে ১৯২৪!
ঝাপসা কাঁচের ওপারে
নীল সাদার বিপ্লব
নতুন করে নতুন পাওয়ার হাতছানি,
তবু উত্তমার্ধকে বলি,
আরেকবার চা হবে নাকি!
উত্তর আসে একইরকম
নির্ভেজাল একটা হাসিচোখ,
নীরবে, শক্তিশালী, মায়াময়
ঠিক যেন জ্যান্ত দুগ্গা।