দীর্ঘ কবিতায় কোলাহলও ছিল।
উদযাপনের আক্রোশ এসে
ভিড় করছিল কবিতারই মতো।
আমার আবার ধর্মটাই কবিতা,
একটু এদিক ওদিক হলেই
ঘুমিয়ে থাকি লাইনের পাশে।
অনেকদিন, এমন হয়
উঠে আবার কবিতার নামে
খেলা করি, সেদিন কবিতা আসে না।
দীর্ঘ কবিতা লিখব বলে
যা শুরু করেছিলাম, স্বপ্ন না দেখে
আবার স্বপ্নের মর্গে তাদের
ঘুম পাড়াই।

কবিতা যত দিন যাচ্ছে
বাচ্চাকাচ্চার মতো অসহনীয়
হয়ে উঠছে আমার কাছে।

কবিতাকে ছাড়তেও পারছি না
গিলতেও চাইছি না।
অথচ দীর্ঘ কবিতা লিখব
এই অনুপ্রাসেই শেষ হয়ে যাচ্ছে
কলমের পর কলম
পাতার পর দিস্তা।

কবিতা দূরে বসে হাসছে।
ঐ শোকেসের মাথায়
কবিতা ভূতের মতো দেখছে।
প্লেনের পাশে, গাড়ির ডানদিকে
এদিক ওদিক করে কবিতা গিয়ে
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের
সমগ্রের গা ঘেঁষে দাড়ালো।

উপন্যাসের গায়ে কবিতা,
কবিতার গায়ে উপন্যাস
দীর্ঘ কবিতার গল্পটুকু
কেমন হওয়া দরকার
খুব সহজেই এবার
বোধগম্য হয়েছে।

এবার আরেক সমস্যা
লিখব কী করে!
এখন তো উত্তাল সময়
বঙ্গভঙ্গের মতোই মশাল জ্বলছে,
রাস্তায় সাধারণ মানুষ
বিচার প্রাপ্য বলে চিৎকার,
অথচ আদালতের গন্ধে
কত যে মুরুব্বিরা বসে
ঘাস খেয়ে নেয়
সে তো জানা-অজানা ক্যুইজ।

দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ তর মানববন্ধন
মোমবাতির বিক্রির টাকায়
একটা হাসপাতাল যদি বানিয়ে ফেলতাম
তাহলে এই সমস্ত কষ্টগুলো
কিছুটা কমেই যেত।
আমার তো মুশকিল অন্যত্র
দীর্ঘ কবিতা সে তো ধরাই দেয় না,
সে রোজই খেলা করে।

খেলা করতে করতে
চারতলায় লুকিয়ে রাখা
চাঁদের ছবিটার পিছনে
বসে বসে লন্ডনের চকোলেট
দিব্যি খেয়ে নিচ্ছে।
ইস্ আমি কথা দিয়েছি
কতজনকে চকোলেট দেব,
এবার কী হবে।

কবিতা তুই পারলি আমার সাথে
আমার সাথেই এমন করতে।

খুব ক্লান্ত লাগছে,
সোশ্যাল মিডিয়ার আইফোন ছেড়ে
একটু ঘুম ঘুম আসছে
একটু ক্লান্তি ভাব আসছে
একটু ঝিমুনি।

অবাক কান্ড
যখন ঘুম ভাঙলো
দেখি কে যেন দীর্ঘ কবিতা
তার আবৃত্তি
তার প্রচার
তার পুরস্কার
তার উপার্জন
সবই রেখে গ্যাছে
আমার ডুয়ার্সের চা খাওয়া টেবিলে।

বড্ড অবাক লাগছে
এসব কিছুই তো আমি চাইনি।

আমি তো চেয়েছিলাম
দীর্ঘ কবিতার মানববন্ধন।

চেয়েছিলাম বললে ভুল হবে
আজও চাই
প্রতিকার।
এই সমাজের নষ্ট কালোর মাঝে
এক টুকরো চাঁদ।
জ্যোৎস্নার আলো, ছন্দময় স্রোত
ড্যামের আড়ালে
লুকিয়ে থাকা দুনম্বরির শেষে
এক নম্বরি এক হাসি,
চুমুময় এক আবেশ।