মাত্র কিছু মুখ,
যন্ত্রণা সরিয়ে রেখে
এসেছে, বসেছে, কথাও বলেছে।
নিদারুণ এক যন্ত্রণা
বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় আশ্চর্য প্রদীপের মতোই
মিটিয়ে দিয়েছে না বলা ক্ষত।
একত্রিত মানুষের দল।
ভিড়হীন একরাশ হাসি,
ক্যাপসুল আলু ভাজা, আমসত্ত্বের চাটনি
সব মিলে মিশে গ্যাছে
জীবন্ত কোলাহলের বাইরের ব্যাকইয়ার্ডে।

হিন্দিভাষী ফোনকল, গির্জার গন্ধ
নানা চিন্তা মেশানো কষ্টরা
হারিয়ে যাচ্ছে দ্রোহ ছন্দে।

একটা কবিতার খোঁজ, কুইজ
সব মিলে মিশে যাচ্ছে
বয়স্ক চোখের আনাচে কানাচে।

রাত হয়ে আসছে,
খেতে যেতেই হবে,
কিন্তু তার আগে
কিছু স্মৃতিসুখ লেগে যাচ্ছে ভালোবাসার মেলায়।

মেলা ভেঙে যায়,
আবার অপেক্ষার সন্ধ্যা ও রাত,
আবার হতাশা,
মেঘ সূর্য চাঁদের খেলা।

আগুন জ্বলছে প্রতিবেশি রাষ্ট্রে,
জনজোয়ার কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে,
তবু একাকী হয়ে হাঁটতে হাঁটতে
একটা ম্যাপেল পাতা হাতে তুলে
গুনগুন করতে করতে গেয়ে উঠছে হাওয়ামন
হাম কো হামি সে চুরালো...
জেগে উঠছে মহব্বতে।

নিজের ফ্রেঞ্চকাট
হয়ে উঠছে বিগ বি...

সাড়ে চার ঘন্টার তফাতেও উত্তমার্ধ
একই, একজনই, সুখ দুঃখের আয়ুসঙ্গী।
চায়ের স্বাদের মতোই প্রাচীন
বড্ড রঙিন।