ধীরে ধীরে জেগে উঠছে অন্ধকার,
গ্রাস করা সময়ে, এক অসম্ভব সম্ভাবনা,
মুছে যাচ্ছে বৃষ্টি পাতের আরোগ্যলাভে।
শুয়ে আছি একাকী বরফ শীতলতায়
অমরত্বের আঙ্গিক স্পর্শ করছে নবীন সবুজ।
মনে পড়ে কুয়াশা ক্যাফেতে
একদিন জমে উঠেছিল সূর্য আলো,
কফির চুমুকে দৃঢ় দৃষ্টান্তের বীজ
রোপণ করা হয়েছিল কবিতায় মালায়।
মেলাময় কবিতাফুল তখন
জমে থাকতো কাগজগাছে, ছন্দ ফলে।
তারপর দৈত্য জেগে উঠল,
কোন শিশু আর আসে না,
কেউ স্বপ্নের শব্দদের এদিকে আসতে দেয় না,
চারিদিক কেবল শীতলতা,
ভেজা শিল, শিশিরহীন শিউলি।
কোন শিশু আসছে না,
দৈত্য ঘুমিয়ে না থাকলেও
ঘুরছে এদিক ওদিক সেদিক।
এরপর
একদিন সে কিছু বলার আগেই
আদিত্য নামলো আকাশজুড়ে।
সেও ছিল এক বুধবার,
বলা যায় বুধাদিত্য।
দৈত্য এখন আবার গান গাইছে,
শীত কমে বসন্ত এসেছে,
দূরে বন্দরে জাহাজে নতুন নাবিক।
এক চাঁদ রাত মনে হয় অনেক চাঁদ,
অনেক জ্যোৎস্না অর্পিত এক সময়...
কবিতারা জল চোখ নিয়ে ঘুম ভাঙছে,
ভাঙা বাড়ির সেই পাহাড় কথারা
নদী হয়ে উঠছে।
স্রোত জাগছে করলা বা থেমসের প্রবহমানতায়।
একটা পাখি ডেকে চলে গেল
নাম না জানা পাখিটা উড়তেই প্রজাপতিরা
জেগে উঠল মুহূর্ত ছন্দে,
কে যেন মুঝে দিয়েছে চশমা,
এখন বড্ড স্পষ্ট
কবিতার মেলা, বড্ড নরম আদরের
ভাবনাচেতনা।