কত দিন তো কত কিছুই ইচ্ছে করে,
কাদা জলে বৃষ্টি ফোঁটা ছোটো ছোটো,
তাদেরও তো ইচ্ছে করে পা ডুবিয়ে,
বসে থাকবে সূয্যি ডোবা ঢেউয়ের সাথে গল্প কতো।
ঝিকিমিকি এরাই তো সব খেয়াল মতো।
এই ধরুন না কেমন বোস বাবুর ঘরের
বারান্দাতে, টবের ভেতর বনসাই,
তারও তো আবার এমন ইচ্ছা হতেই পারে
লম্বা হয়ে চোখে চোখ রাখবে পাশের বাড়ির নীম গাছটার,
ফুল,ফল আর বাতাস নিয়ে ছোট্ট জীবন কাটিয়ে দেবে।
লক্ষীছাড়া এসব ইচ্ছার ভার বনবিবি কেনোই বা নেবে।
মামী হয়েও রাধারাণী র ইচ্ছা হোলো,কানাইয়ের
ভালোবাসায়,অভিসারে পূরণ হবে সারাজনম।
কলঙ্কনীর দুঃখ ছিলো নীল রঙের একটি খামে।
বাঁশির ফুঁয়ে তার সুরটা ভরাট হোলো অন্য নামে।
আমাদের টা ভেবে দেখুন ভীড় বাসে যদি
ইচ্ছা করেন শিউলি ফুলের গণ্ধ,পাবেন?
আমার তো রাতের বেলা কাঁটাতারের বেড়ার উপর
শুয়ে পড়ি চাদর পেতে,জ্বালিয়ে তারার কুপি,
ঐটুকু তেই কাশ ফুল আমি আর ঐটুকুতেই দুখী
ঘরের ভেতর ঘর লুকানো, আমার ভেতর লাখো জনের বাস।
নিজের হাতেই তাদেরকে দেওয়া আত্মকারাবাস।