একদিন রাতে, ঠিক মধ্যরাতে
কি যেন এক যন্ত্রণার বীণা বাজলো মনে।
মনে পড়ে গেল তোমাকে।
ঘুম আসতে চায় না।
কিন্তু, কেন?
যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলাম নিঃসঙ্গ বিছানার ’পরে।
হঠাৎ বালিশের নিচ থেকে-
একটি, দু’টি, তিনটি
কাগজে মোড়ানো নিকোটিন পুড়িয়ে টেনে নিলাম একে একে।
সে যে কি উপশম!
পরম শান্তি!
অচেতন মানবদেহটি বিছানায় টেনে ক্লান্তি।
তারপর, আর জানি না কিছু।

পরদিন সকালে-
সকাল নয় ঠিক, ভোর হবে হয়তো,
নিদ্রাভঙ্গে দেখি-
আমাকে শেষ করে হয়নি সে ক্ষান্ত।
বিছানাটা পুড়েছে, বালিশও খানিকটা,
সবই কবুল, আজ শোকাহত মনটা।
শরীর আবৃত করে পোশাকে
বেরিয়ে গেলাম শুকপাখিটার ডাকে,
পাখিটার ডাক শুনে
ভার হৃদয় উঠলো আঁৎকে।
পাখিটিও কি দেউলিয়া হয়েছে?
সেও কি একটা ক্ষত হৃদয় নিয়ে ঘরে ফিরেছে?
ঠিক আমার মতো?
নিঃসঙ্গ এই ভাঙা মানুষটির মতো!


                       রচনাকালঃ ১৯৯৮খ্রিঃ।