ওগো পল্লি রমণী!
কী রূপ দেখিয়েছো তুমি,
পর’পর’ বিকেলেরে হার মানিয়েছো
হার মেনেছে বসন্ত।
প্রকৃতি আজ ক'বে না কথা
অভিমান করেছে তোমাতে,
তুমি এলিয়েছো চুল
মাঠ ফেরা বাতাসে;
দাঁড়িয়ে আছো কোন দুঃখ নিয়া
বসন্তেরই রূপ সাজিয়ে
মাঠ শেষে চেয়ে থাকা
ঐ ছোট্ট জানালার পাশে;
ওগো পল্লি রমণী!
কী রূপ দেখিয়েছো তুমি
পাগল করেছো আমারে,
প্রকৃতি খোঁজে ফিরে তোমায়
তুমি নাই তারই পাশে,
তুমি আছো প্রকৃতিরে পেছনে ফেলে
কোনো এক অদূর উর্ধ্বরাশে।
হে পল্লি রমণী!
কী নাম তোমার?
আমি চাই প্রিয় থেকে প্রিয়
তোমার সর্বস্ব আমার।
একি! কাঁদছো কেনো তুমি?
কাঁদবার বেলা হয়নি এখনো,
আধো আলো আধো অন্ধকারে
জানি তোমার এ দুঃখ হারাবে না কখনো।
দেখো পল্লি রমণী!
প্রকৃতি রাজ কাঁদছে তোমার কষ্টে,
আর কেঁদো না রমণী,
কেঁদো না তুমি,
বসন্তরে হার মানিয়েছো
ক'য়ে দেবো প্রকৃতিরে আমি।
ওগো পল্লি রমণী!
কী রূপ দেখিয়েছো তুমি,
পাগল করেছো আমায়
পাগল হয়েছিনু আমি।
রচনাকালঃ ০৭ মার্চ ২০০০খ্রিঃ।