নজরুল তুমি বাংলার কবি,
তুমি বাংলার মাঠ, বাংলার মাটি।
নজরুল তুমি হিমালয়ের খিল,
বাংলার বাতাস আর আকাশের নীল।
নজরুল তুমি শ্মশানের অঙ্গার,
তুমি মানবতার জয়, মানবতার কাতার।
নজরুল তুমি গর্জে উঠা সিংহ,
সাতচল্লিশ আর একাত্তরের পদচিহ্ন।
নজরুল তুমি মায়ের কেশর,
তুমি বোনের স্নেহ আর স্ত্রীর বাসর।
নজরুল তুমি কৃষকের হাল,
তুমিই লাঙল তুমিই জোয়াল।
নজরুল তুমি মাঝির কণ্ঠ,
হাতের বৈঠা আর নদীর পন্থ।
নজরুল তুমি বাইশের অগ্নিবীণা,
ছাব্বিশের সর্বহারা আর সাতাশের ফনিমনসা;
তুমি পঁচিশের সাম্যবাদী, ত্রিশের প্রলয়শিখা।
নজরুল তুমি আগ্রার তাজ, ব্যাবিলনের উদ্যান,
তুমি সৃষ্টির এক অপরূপ দান।
নজরুল তুমি বাংলার আনাচে-কানাচে,
তুমিই শরতে তুমিই হেমন্তে।
তুমি সুলতানিদের তলোয়ার, মুঘলের শাসন,
স্রষ্টার সৃষ্টি আর দেবতার চরণ।
নজরুল তুমি তেরো বছরের দুখু,
সতেরোতে সৈনিক, ব্রিটিশের চন্দ্রবিন্দু।
নজরুল তুমি আশালতা সেনগুপ্তার দেবতা,
তুমি তোমার বুলবুল, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা।
তুমি হুগলী জেলের কারারুদ্ধদের অনশন আত্মা,
তুমি বিদ্রোহী ছেলে, কংগ্রেসের নেতা।
নজরুল তুমি শিল্পীর আঁকা ছবি,
তুমিই হেমন্ত, শীত ও বসন্তের কবি।
তুমি বর্ষার নিয়মিত ধারা, গ্রীষ্মের দাবদাহ,
তুমি শরতের চাঁদ, হেমন্তের দাওয়া।
নজরুল তুমি রবীন্দ্রনাথের বসন্ত,
তুমি কালের চক্র আর বাংলার দাসত্ব।
নজরুল তুমি ন্যায় অন্যায়ের মানদণ্ড,
তুমি প্রেমের প্রতীক, তুমি নোবেলের বিস্ফোরক।
নজরুল তুমি কমলের কাঁটা, তলোয়ারের শান,
তুমি সৃষ্টির এক অপরূপ দান।
রচনাকালঃ ২৭ মে, ১৯৯৯খ্রিঃ।
বিঃ দ্রঃ- আমার শ্রদ্ধেয় অরূপ গোস্বামী দাদা’র
অনুরোধে কবি নজরুলকে নিয়ে লেখা কবিতাটি
প্রকাশ করলাম।