এ’যে সবই মোহ
সবই দাহ
সবই মায়া ঝঞ্ঝাট
একূল ওকূল কোনো কূলেরই নও তুমি সম্রাট।
কোথায় যাবে তুমি?
রং মহলে!
অন্দর মহলে!
নিদ্রা মহলে!
নাকি রহস্যময় তোমার সেই অট্টালিকার ’পরে?
যেথা খুশি সেথা যাও
রুখে দাঁড়াক যত বিস্তার
একূল ছেড়ে ওকূলে যেতে হবে
কোথাও নাই তোমার নিস্তার।
এ পার্থিব জীবন-জোয়ার,
লোভ-লালসা
আর ফ্যাসাদের দুয়ার,
নেয়ার ঝুলিটা খালি রবে
অবশেষে কিছুই হবে না নেয়া আর।
তুমি লোভ করবে
লালসা করবে
ফ্যাসাদে লিপ্ত হবে,
তোমার চাওয়ার ভাণ্ডার বহু বড়
পাওয়ার তরে মশগুল হবে,
তুমি পাবে, তুমি পাবে না,
একূল ওকূলের যিনি সম্রাট
সবই তাঁরই খেলনা।
কেহ না চাহি’ পায়
কেহ চাহি’ও নাহি পায়
তব শাশ্বত, সবই চির অনন্ত
ক্ষণ কেবলই চলে যায়।
তুমি চাও,
চেয়ে লও ত্বরা করে
নেয়ার ঝুলিটা করে লও পুর্ণ,
তোমার পাওয়া
তোমার যা পার্থিব পাওয়া
সবই হবে একদিন চূর্ণ।
তোমার অতীত হয়েছে গত
খেলেছ অনেক খেলা,
আরাম-আয়েশে, মোহ-মায়ায় কেটেছে দিন
সময় হয়েছে
আর নয় হেলা।
তোমার দিন গুটিয়ে এসেছে
হুশ হও ত্বরা করে
অতীতের পাপ মোচন করবে
বসে যাও আরাধনে।
তুমি ধ্যান করে দেখো বসে
কী তোমার উদ্দেশ্য,
কেমন তোমার অতীত,
হায়! যদি একবার বুঝতে
শতবার কাঁদতে
তবে না হতে এত ব্যথিত।
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ তুমি
একথা স্থির সত্য,
তবে স্রষ্টার কথা
তোমার দোজাহানের সম্রাটের কথা
তুমি কীভাবে-কেন ভুলেছো?
যৌবন ছিল তোমার
তাঁর তরে উৎসর্গ করার,
পৌঢ় ছিলে তুমি
স্মরিয়া ডাক হাঁকোনি তাঁর,
বৃদ্ধ হয়েছো তুমি
এবার শুকরিয়া জ্ঞাপন কর তোমার স্রষ্টার।
তুমি না চাইবে
তবু যেতে হবে
ওকূলে পাড়ি দিয়ে
তাই নেয়ার ঝুলিটা
পূর্ণ করে লও
পাপ মোচন করিবে।
রচনাকালঃ ০২ ডিসেম্বর, ২০০২খ্রিঃ।