হলদে পাখি, হলদে পাখি
জানিস কিরে তুই?
তোর জন্যে প্রতীক্ষারত
আমি একটি লতা পূঁই।
তোরে লক্ষ্মীসোনা চাঁদের কণা
কত কিছুতেই-না ডাকি,
তুই কি ভাবিস
সব কিছুই এমনি এমনি মেকি?
গতর ভরে ভালোবাসতে পারি
আরো পারিও ভালোবাসাতে,
তোর তরে হাসতে পারি
আবার পারিও কাঁদতে।

শুনেছি......................
তুই নাকি আবার ফুঁড়েছিস নাক?
আচ্ছা...................
তাহলে তুই তবে ভালো থাক।
পাখি! আবার কেন রে ফুঁড়ালি?
পালাইনি বলে?
পালাতে বলিস
তা কোন সে ছলেকলে?
আমি পূঁই থাকি শুয়ে
বাড়িওয়ালীর বিছ্না মাঁচায়,
তুই থাকিস বন্দি হয়ে
বাড়িওয়ালার শখের খাঁচায়।
আমায় নিয়ে পালাতে চাস
সাহস কত রে তোর,
বাড়িওয়ালা জানতে পারলে
ভাঙবে ঠ্যাঁঙ জোড়।

বাড়িওয়ালী অনেক যতনে
সার-পানিতে পুষছে আমায়,
আমায় নিয়ে পালাতে বুঝি
এমনি দেবে তোমায়?
বাড়িওয়ালা তোরেও তো
কম করে না যতন,
তফাৎ তবে আছে একটু
মুক্ত না তুই আমার মতন।
মাঁচায় আমি এদিক সেদিক
বেয়ে বেড়াই হায়রে,
বুঝি আমি আমার মতন
স্বাধীনতা তোর নাইরে।
ইচ্ছে খুশি ঘুরে বেড়াই
সে স্বাধীনতা আছে,
আচ্ছা তুই বল
শেকড় কি আমারো নাই পাছে?
পালাইনি বলে রাগ করিস না
নাক ফুঁরেছিস ভাল,
বাড়িওয়ালা আবার তোরে
আদর সোহাগীতেই পেল।

আজকাল মনটা শুধু আনচানে
হয়েছি যে বেশ ডাগর,
তুইও তো জানিস
বাড়িওয়ালী কতই না মায়ার সাগর।
হা.........হা.........হা..........
শুনেছি................
হয়েছে তৈরি বাড়িওয়ালী
কালকে সকালে,
চিবিয়ে খাবে রাঁধবে আমায়
কাটবে ডগা ধরে।
হুম....................!
ভাল থাকিসরে তুই
সব যাত্রায়ই যেন যাস বেঁচে,
বাঁচিয়ে রাখিস আমাকেও তুই
তোর হৃদয়ো মাঝে।