গিয়েছিলাম চাচার সাথে দাদার বারাতীতে,
বাড়ির সবাই করলে মানা ওদের সাথে যেতে।
গিয়েছিলাম তবু আমি মজা হবে তাই,
রাস্তায় আমার অবস্থা বারোটা হল ভাই।
কিছু দূর গিয়েই আমার টয়লেটেতে পেল,
ততোক্ষণে গাড়িটা শুধু এক কিলোমিটার গেল।
গাড়ি থামিয়ে টয়লেটেতে আধা ঘন্টা পার,
ব্যস্ত হয়ে ছুটলাম বেলা দশটায় আবার।
কমলনগর এসে আমার ভীষণ অবস্থা হলো,
অধিক ঝাঁকিতে অধিক টানে মাথা ব্যথায় পেল।
মাথা ব্যথা নয়রে ভাই যেন মাথা ভাঙা,
চিৎকার আমার থামলো না ডাক্তারখানা ছাড়া।
রোগী আমি হয়ে গেলাম আদর-সোনা তাই,
সবাই ভাবে কি করে যে ওকে রেখে যাই।
সুস্থ আমি হতে হতে দুইটা ঘন্টা লাগলো,
তারপর গাড়ি বরযাত্রীতে কমলনগর ছাড়লো।
দশ মিনিট পরেই আমার পানি পিপাসা পেল,
পানি আমার চাই-ই চাই যতই ওরা বললো।
পানি পানান্তেই চললাম আবার মোদের উদ্দেশ্যে,
বেলা একটা বাজে তখন আটাশ মাইল সম্মুখে।
ঘড়িশাই এসেই আমার ভীষণ ক্ষুধায় পেল,
খাবার আনতে চাচা আমার বাজারেতে গেল।
বাজারেতে গিয়ে চাচা রাস্তা হারিয়ে ফেললো,
দিশেহারা হয়ে চাচা যেথায় খুশি চললো।
দু’টা হয়ে বেলা তখন তিনটা হয়ে এলো,
চাচার খোঁজে সবাই তখন বাজারেতে গেলো।
চাচাকে পেয়ে সবাই এলো চারটে বাজে যখন,
সবার মুখে একই কথা- পৌঁছবো মোরা কখন?
খিদেয় সবাই অস্থির হয়ে কদমতলী নামলো,
পাঁচটা বাজে সবাই তারা খাবার-দাবার সারলো।
সন্ধ্যা তখন সাতটা বাজে চলছে গাড়ি ভালোই,
গাড়ি হঠাৎ নষ্ট হলো- কেমনে মোরা যাবোই।
কতো আশা ছিল মনে তাউই বাড়ি যাবো,
কে জানতো আমার জন্য এতো দুঃখ থাকবো।
দাদার বিয়েতে অমত সবাই বাড়িতে যারা আছে,
আমিই শুধু মত দিয়েছিলাম এই পাঁচ নম্বর বিয়েতে।
মত দিয়েছিলাম ভালো কথা কেন বারাতীতে এলাম,
এসে আমি কেন যে এই অবস্থা করলাম।
সবই যে ভাগ্যের লিখা মানতে তা হবেই,
দুনিয়াটা উল্টে গেলেও বিয়ে দাদা করবেই।
রচনাকালঃ ২২ অক্টোবর ১৯৯৯খ্রিঃ থেকে
১৮ জানুয়ারি ২০০০খ্রিঃ পযর্ন্ত।