তোমার অস্তাচলে তাকিয়ে
আচলের সুদীপ্ত বলিরেখাটি বিলাপ করে,
আমি তা সহ্য করি;
ভস্মতূল্য স্মৃতিপদক বসনখানি রিক্ত বলে
শক্ত করে হুমকি দেয় বারবার,
আমি তাও সহ্য করি।
আমাদের অপূর্ণাঙ্গ ইচ্ছাসুখগুলো বিদ্রোহী হয়ে
আমার বিরুদ্ধবাদ শ্লোগান দেয়,
আমি তা হজম করি;
হিমস্নাত মুহূর্তগুলো বয়োজীর্ণ নুহ্য হয়ে
আবোলতাবোল বকে সারাক্ষণ,
আমি তাও হজম করি।
হৃদয়ের নীলাম্বুধি তলগুলো অগ্নিদীপ্ত হয়ে
খসে খসে পড়ছে অনেককাল গহিনে,
আমি তা অনুভূতিহীন;
রৌদ্রদীপক মনোভবগুলো আঘাতসহ শোচ্য হয়ে
লাফিয়ে লাফিয়ে আঘাত করছে,
আমি তাও অনুভূতিহীন।
নিতন্দ্রা রজনীযোগের অবশিষ্টাংশ উন্মাদী হয়ে
আতকে আতকে আহাজারি করে,
আমি অবিচলিত থাকি;
নিরস্ত্র আকাঙ্খাগুলো মস্তিষ্কে রক্তজল ঢেলে
ঝাঁজিয়ে ঝাঁজিয়ে ঝাঁজড়া করে,
আমি তাও অবিচলিত থাকি।
বিশ্বাসঘাতী কণ্ঠীত শব্দকোষগুলো দৃঢ় হয়ে
নিরবলম্বনের কারণ জানতে চায়,
আমি নিরূত্তর থাকি;
প্রশ্নদৃষ্টির চোখগুলো সোচ্চার আরোহী হয়ে
উত্তর জানতে চায় বারবার,
আমি তাও নিরূত্তর থাকি।
সকলজন্মা সমবেতভাবে একটি উত্তর জানতে চায়-
"একটাই গল্প, তাও আবার এতো অল্প?"
আমি চোখ বন্ধ করে অস্ফুটে বলি-
"হ্যা, তা-ই আমাদের অসম্পূর্ণ গল্প।"