এ কেমন বিদায়!
কোনো কথা নেই
কোনো বিলাপ নেই
কোনো বোঝাপড়া নেই
নেই কোনো শব্দ কান্নার অথবা নীরবতার।
পেয়েছিলামও হয়তো এভাবেই।
যে পথ ধরে তুমি এসেছিলে
চলে গিয়েছো আবার সেই পথে,
আমি শুধু দৃষ্টি হারিয়েছি
তোমার সেই অম্লান বিদায় রথে।
বুক বেঁধে নিয়েছি আশায়........
শুধু আশায় ...........
বন্ধু, এ কেমন বিদায়!
তোমার সত্যসন্ধানী দৃষ্টি
তোমার প্রজ্ঞাময় প্রতিমা
তোমার মহিমা
তোমার চিরস্মরণীয় লিখনি
তোমার অনাকাঙ্খিত প্রত্যাশা
কিছুই আমি ভুলিনি,
ভুলতে পারবোও না।
শুধু অবশেষে জেনেছি-
পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ ভুলে থাকা।
তাই ভুলে থেকো না বন্ধু,
ভুলেই যেও।
ভুলে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করোনি
আমাকেও করাওনি,
শুধু এক নীরব কান্না চাপিয়ে দিয়েছো আমার বুকে
আর নিঃশব্দে বলেছো- ‘বিদায়’।
বন্ধু, এ কেমন বিদায়!
আমার জন্য অনুতাপ করো না।
আমার রয়েছে যশ, সুনাম, প্রতিপত্তি,
আমার রয়েছে কষ্ট।
কষ্টই আমার ঐশ্বর্য,
এ নিয়ে কিছু ভেবো না,
আমি চাই সুখি হও
সুখেই যেন থাকো চিরদিন।
চেয়ো না ভালবাসার দাম
ফিরিয়ে দিতে বলো না সেই বিতানো সময় কোনো দিন।
তোমার কাছে চাইছি না তেমন কিছুই,
চাইছি শুধু একটি অপ্রত্যাশিত বিদায়।
তুমি দিলে, তুমি দিয়েই দিলে,
কিন্তু,
বন্ধু, এ কেমন বিদায়!
‘ভালবাসা পাইনি বা দেইনি’
এ অভিযোগ ও অপবাদ কোনোটাই সঠিক নয়।
তোমার কাছে যা চেয়েছি
দিয়েছো তার নিঃশেষ অধিকার,
আমার যা কিছু দিয়েছি
তার লেশ মাত্রও বাকি রাখিনি,
যা দেয়ার তার সবটাই দিয়েছি।
হিসাব-নিকাশে হয়তো কারো কাছে কিছুই ছিল না অবশেষ,
আমরা ছিলাম নিঃস্ব।
সবশেষে বুঝলাম- হারানোর কষ্টের চেয়ে
অনিশ্চয়তায় পেয়ে বসার কষ্টটাই বেশি।
তাই, শত ইচ্ছা শত আকাঙ্খাকে হত্যা করে বলেছি-
‘ভুলে যেও আমায়’।
কিছুই বলোনি,
শুধু এক নীরব কান্না চাপিয়ে দিয়েছো আমার বুকে
আর নিঃশব্দে বলেছো- ‘বিদায়’।
বন্ধু, এ কেমন বিদায়!
রচনাকালঃ ২৯ জুন, ২০০১ খ্রিঃ।