প্রবন্ধমূলক কবিতা : কবিগুরুর শ্রদ্ধার্ঘ্যে
কবি : সোমা বিশ্বাস
হে গুরুদেব, আজ পুণ্যতোয়া পঁচিশে বৈশাখ
মধুর শব্দে বেজে উঠলো একশো আটান্ন বছরের ঢাক ।
১২৬৮ বঙ্গাব্দে পিরালী ব্রাহ্ম পরিবারে এলে তুমি,
সমুজ্জ্বল রবিরূপে জন্মে পুণ্য করলে ভারতভূমি ।
পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন ' মহান ঋষি ' ।
তুমি বাঙালির গৌরব, বাংলা সংস্কৃতির হাসি ।
গণ্ডীবদ্ধ বিদ্যালয় পছন্দ ছিলো না তোমার,
গৃহশিক্ষাতেই পথ প্রশস্ত করলে বিলেত যাবার ।
ব্যারিস্টারি শেষ না করে ফিরলে বিলেত থেকে,
জমিদারির দায়িত্ব পিতা দিলেন তোমাকে ডেকে ।
আট বছর বয়স থেকেই কবিতা লিখলে তুমি,
প্রথম প্রকাশিত 'অভিলাষ' - সকলেই কি জানি ?
'চোখের বালি', 'গোরা', 'রাজর্ষি', 'নৌকাডুবি' অতুল্য ।
'সোনার তরী', 'গীতাঞ্জলি', 'পুনশ্চ', 'গীতিমাল্য',
'নবজাতক', 'শেষ লেখা', 'শ্যামলী', 'চৈতালি', 'কল্পনা' ।
১৯১৩ তে 'Song Offerings' এর জন্য পেলে 'নোবেল' - 'কল্প' না ।
মানবদরদী জালিয়ানের প্রতিবাদে করলে 'নাইট' বিসর্জন ।
বোলপুরে প্রতিষ্ঠা করলে 'শান্তিনিকেতন' ।
'বিশ্বভারতী' - একটি আদর্শ শিক্ষায়তন ।
১৩৪৮-এর ২২-শে শ্রাবণ - করলে পরলোক গমন ।
"জগৎ কবির সভায় মোরা আজিকে করি গর্ব ।
বাঙালি আজি গানের রাজা, বাঙালি নহে খর্ব ।"
তুমি তো বিশ্বকবি, প্রাণের কবি, তুমি আচার্য ।
তোমায় স্মরি, আবার এসো, ফেরাতে দেশের শৌর্য ।
"চোখের আলোয় দেখেছিলাম চোখের বাহিরে
অন্তরে আজ দেখবো যখন আলোক নাহিরে ।"
তুমি এসো আলো হয়ে ঘুচোতে আঁধার রাতি ।
দূর করে দাও সন্ত্রাসতা জ্বালিয়ে প্রেমের বাতি ।
বাংলা সাহিত্যের ধারক-বাহক, গুরুদেব তুমি,
শতকোটি প্রণাম নিও, চরণযুগল নমি ।