____________স্মৃতি___________
ঠাকুরমা আমার বিপুলা সুন্দরী
নামটি ছিল বেশ ,
যেমন ছিল বুদ্ধি মতি
গুণের নাই অবশেষ ।
বয়স অল্পে বিবাহ তার অল্পতেই বিধবা ,
সংসারের সকল চাপে পড়ে গেছেন বাধা ।
আমরা তখন অনেক ছোট বুঝিনা অত কিছু,
পিঠে হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়াত বলতো কত কিছু।
স্নানেরশেষে ঠাকুর ঘরে করত কত পাঠ ,
গল্পের ছলে আমাদের কেউ শুনাত কত রাত।
যুগ নিরামিষ খেতেন উনি রান্নাতে শাকসবজি
খেতে বসলেই রাগ দেখাতাম
বলতাম ,এসব ছাড়া আর আছে কি ?
আদর করে বলতো তখন
শাক খেলে অংক পারবি,
আরো বাড়বে বুদ্ধি ,
তাড়াতাড়ি বড় হবি,
পাবি বড় চাকুরি ।
শাড়ি পড়ে স্কুলে যেতাম মাথায় দুই বেনী
ভাতটাও মেখে খাইয়ে দিত বিরক্ত হতো না একটুখানি।
স্কুলেরশেষে কলেজে গেলাম ঠাকুরমার কি আনন্দ, ফিরতে একটু দেরি হলে পথে তাকিয়ে থাকতো।
স্মৃতির সেদিন গুলি এখনো আছে মনে ,
ঠাকুরমা আর ঘরে নেই ,
সোহাগ আদর সব নিয়ে গেছেন উনি স্বর্গে।।