মাস শেষ হলেও বেতন পান
আট-দশ দিন পরে,
বেতন পেয়েই সোজা চলে যান
কম্পিউটার ঘরে।

সেখানে গিয়ে পে-স্লিপ বানান
চার-পাঁচ হাজার কম ধরে,
বাসায় গেলেই স্বামী সাহেব
টাকা নিয়ে নিবেন খপ করে।

পে-স্লিপ দেখেন বেতন কত
বউয়ের কামাই প্রতি মাসে?
সেই অনুযায়ী বউয়ের টাকা
সব নিয়ে নেন নিজের কাছে।

নিজে রোজগার করলে করেন
না করলে তো বউ আছেই,
গার্মেন্টস এ চাকরি করে
বেতন তো পায় প্রতি মাসেই।

তিনি স্বামী, তিনি পতি
খরচপাতি তিনিই করেন,
তিনি ছাড়া নাই তো গতি
যতই তার বউ খেটে মরেন।

স্বামী সে তো প্রভুর মতন
ভরণ-পোষণ না-ই বা দিলেন,
এই স্বামীরই পায়ের নিচে
বেহেশত আছে হুজুর বলেন।

বউয়েরও যে মা-ভাই আছে
তাদেরও তো দেখতে হয়,
তাই বেতনের মিথ্যা পে-স্লিপ
প্রতি মাসেই বানাতে যায়।

এভাবেই চলছে অগণিত
সেলাই দিদিমনিদের দিন,
প্রভুভক্ত এই নারীদের
একটু স্বাধীন ভাবে বাঁচতে দিন।