পাখিদের ওই মধুর বাসন্তিকার কথা কখনো ভেবে দেখেছেন,
ঐ নিরব নিথর আরতিতলায় উনাদের প্রসারিত আঙ্গিনা, এক অনুড়া হতে অন্য উপারে,
এক সারথি থেকে অন্য, কাটাল্ঙ্খানের অজস্র ঝড় থেকে পূবের ওই নিরন্তরলোক
এ যেন ভূবন জয়ের এক স্রোতধ্বনির আনন্দ পাতানো গান থোপায় থোপায় গুটি বাঁধে,
কেবলই যেন কান পেতে শুনি সেই আবিরতা,
কেবলই যেন নিস্তরন দেবালয়ে প্রকরন বাসনা,
সেই মঙ্গলালোকের সুধাচয়াসিনী,
আমি সেই পুলকের কথা বলছি, আমি বলছি দ্বিগিজয়ের পথে এক অমানিশার দুবার হেটে চলা
সেথায় পুলক আছে, ধারা আছে, আর কাব্যবিলাসের সমগ্রতা আছে
সেথায় রুপকাহিনীর আশ্চয মোহনা খেলা করে,
আধুলি সঙ্গীতে যেন মলয় বৃষ্টি আসে,
এক প্লাবন থেকে অন্য প্রলয়ের বান বয়ে যায়,
বড় আশ্চয বড় বেলাভুমির বালুকা,
গহীন পথ আছে, এক তিমিরি হতে অন্য তিমিরের জাগরন আছে
তবু ও মায়ার দোলনা আমি তোমাদের পথে হাটি
ভাবি এই অরুপ রুপের আঙিনা কেবলই
সৌম্য রসেরই শ্রাবণসঙ্গীত।