হয়তো চোর ছিলো না সে, ছিলো এক পথিক!
মানসিক ভারসাম্যে হারিয়ে ফেলে দিক।
ঢাকার পথে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারে,
ভুলের দায়ে পিঠে তার উঠে আঘাতের ভারে।

যে হাতে ছিলো তার ভাতের থালা,
সেই হাতেই হলো তাকে শেষবারের মেলা।
শিক্ষিত জনের এমন নিষ্ঠুর প্রহার,
বুঝি না কেন মনুষ্যত্ব পায় না তার অধিকার।

জীবনটা তার ছিলো হয়তো বোঝার অপেক্ষা,
মানুষের মমতা পেলো না, পেলো কেবল নেকড়ার লেখা।
পড়ল যারা তাকে র'ক্তাক্ত বুকে,
তারা কি জানে জীবনের মূল্য, হোক সে পাগল যুদ্ধে?

জীবনের ডাকে, মনুষ্যত্বের কণ্ঠ,
সেই কণ্ঠ কেন হলো হঠাৎ অন্ধ?
কেন এই প্রাণটা হলো মাটিতে মিশে,
বিচার কি হবে তার? নাকি তুচ্ছ এই সবকিছু বিশে?

শিক্ষার আলোতে যারা সেজেছে মহান,
তাদের কাছেই তো চায়েছিলো আশ্রয় এবং প্রমাণ।
কিন্তু পায়নি সে কিছু, পেলো শুধু শেষ বিদায়,
এই কেমন সভ্যতা? কেমন সমাজের বায়?

___ সোহেল আরিয়ান। ১৯.০৯.২০২৪
কবিতাটি ঘটনাটির অবলম্বনে লেখা।