চলুন আমি আর আপনি একদিন বিকেলে চা খেয়ে আসি;
আমি পাঞ্জাবি পড়বো আর আপনি কিন্তু শাড়ী পড়তে ভুলবেন না।
আমি আসার সময়ে আপনার পছন্দের সেই গোলাপ ফুল না হয় আনবো; আর হ্যা কষ্ট করে আপনার কোনো ফুল আনতে হবে না।
কারন, আপনি নিজেই একটা ফুটন্ত ফুল আমার কাছে।
অতঃপর সেই গোলাপ ফুলটি আমি নিজ হাতে আপনার খোঁপায় পড়িয়ে দিবো। তারপর আমরা কিছু সবুজ গাছের ছায়াতল সেই রমনায় একটু হাঁটাহাঁটি করবো।
রাস্তা যখন পাড় হবো তখন আমার হাতটা শক্ত করে ধরবেন; আমি না হয় আপনাকে দেখে দেখে আনমনা হয়ে রাস্তায় হোঁচট খেয়ে পড়ে যেতে পারি।
আমি আপনাকে নিয়ে রমনায় হাটঁতে হাঁটতে আপনাকে আর প্রকৃতিকে এক সাথে দেখবো; আর আপনার চোখে আমার চোখ মাঝে মাঝে হারিয়ে যেতে দিবো; মন ভরে উপভোগ করবো।
প্রকৃতি আর আপনাকে দেখতে দেখতে ঘড়িটাও আমার ঠিকমতো দেখা হবে না। তখন আপনিই মোবাইলের স্ক্রিনটা অন করে হঠাৎ বলে উঠবেন; এই এখন তো আমাদের যেতে হবে! সময় যে ফুরিয়ে এলো! সূর্যটাও হেলে পরেছে পশ্চিমাকাশে। আপনি বলতে চাইবেন নাহ; তারপরও আমাকে বলবেন "এখন যে যেতে হবে আমাদের গন্তব্যে!
তখন আমি একটু চুপ করে থেকে বলবো আচ্ছা চলেন আপনাকে রিক্সায় তুলে দিবো!
অতঃপর রিক্সায় তুলে দিয়ে আমি দাড়িয়ে থাকবো; আর একটু পর পর আপনি পিছনে ফিরে তাকাবেন। অনেক দূর থেকে না হয় হাতটা দিয়েও ইশারা দিয়ে আমাকে বিদায় দিবেন।।
আমি বাসে বসে থাকা অবস্থায় আপনি বাসায় পৌঁছে যাবেন; আর আমার সাথে চ্যাটিং করে এই জ্যামের রাস্তায় আমাকে একটু স্বস্তির দিবেন।
হঠাৎ মনে হলো আরে আমাদের তো ছবিই তোলা হলো না! পরোক্ষনে আপনি ওপাশ থেকে বলে উঠবেন। আপনি আমার মোবাইলে বন্দী নয় আপনি আমার চোখেতেই বন্দী হয়ে আছেন... তাই আমাদের ছবি তুলবে হয়নি।
অতঃপর আমি বাস থেকে নেমে বাসায় হাঁটা ধরবো...
আর তখনি আপনি আমাকে বলবেন হ্যা আপনাকে আজ পাঞ্জাবিতে খুব সুন্দর লেগেছে....
বিশ্বাস করেন প্রিয় মানুষগুলোর কাছ থেকে এমনটাই আশা করে সবাই। এর বেশি কিচ্ছু চাচ্ছি না।।
__ সোহেল আরিয়ান।
০৫.০৩.২০২৩