জানালার সার্শী ভেদ করে
খুব সহজেই ঢুকে পড়ে
মায়াবী দ্বাদশীর চাঁদ
অথচ তোমাকে ছোঁব বলে
দাঁড়িয়ে থাকি জানালায়
দেই বড়িয়ে কামার্ত হাত
আপোষহীন অন্ধকার বলে
‘সংযত হও, নতজানু হও
কদর্য পথ থেকে দূর হও’
তোমাতে-আমাতে হোক
এটুকুই তফাৎ
তবুও রাতের শেষে, আলাপনের শুরুতে
চাঁদকে বলি নিয়ে যাও আলোর দেশে
হেসে বলে চাঁদ, ‘আমিতো আলো কিনি
সূর্যের খাজাঞ্চিখানায়
আমার পূর্বপুরুষরাও ঋণী’
অদৃষ্টের আট আঙুল
চেপে ধরে চোখ
জানতে চায় পৃথিবী কতটা সুন্দর
আমি বলি ভাই, দেখি শুধু তার মুখ
অন্য কিছুতে রুচি নাই
ও ছাড়া বৃথা এ পৃথিবীটাই
আকাশ জুড়ে আঁকি
তার একটাই ছবি
প্রশ্ন করার সাহস খুঁজি
অভয় পেলে,কণ্ঠ নামিয়ে বলবো
‘তুই কি আমার হবি’
শুকনো ডালে নব কল্লোলে
ফুলে ফুলে হাসলো প্রেমদেবতা
পথভ্রষ্ট বৈরাগী, নদীর কুলে কুলে
পৌঁছে দিল রমণীর মুখরতা
কিন্তু কড়ে নিলো না
নদীর চঞ্চলতা
নাইবা হাঁটলাম সবুজ ঘাসে
নাইবা আগুন লাগালাম গোলাপে
নাইবো পুড়লো আঙুলে আঙুল
নাইবা ভিজলো চোখের ভিতরে চোখ
আমাদের নৈকট্য হ্রাসে
জমিতে লাঙল আর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে
তবুও হেঁটে যাবো দিগন্তে
নগরের ভিতর দিয়ে নগরে
খুঁজে নিব ইলিয়াড ও ওডিসি গ্রন্থ খুলে
কি ঘটেছিল সেদিন ট্রয়ের যুদ্ধে
পলাশীর যুদ্ধে মীর জাফর বসে থাকলেও
কালের যাত্রায় প্রমিথিউস, প্যান্ডোরা
বসে থাকেনি কখনও
নির্বোধ প্রজাদের অবরুদ্ধে
সিঞ্চনে সিঞ্চনে ভালোবাসার নদীতে
সাঁতরাবো আমি স্বর্গ জয়ের ফুর্তিতে
ওড়বো আমি সর্বস্ব বেলাভূমি জুড়ে
কামিনী ফুলের বাউলা গন্ধে
এমন করেই গুঁজবো তোমার খোপায়
পাগল করা এক সন্ধ্যে