.
আগুন নিঃশ্বাসের আত্মাহুতিতে
তোমার সংস্পর্শে আসি বারবার
খুলে ফেলি বৈষম্যের সিংহ দ্বার
মেলে ধরি মুগ্ধতার আকুতিতে
আমি ক্ষত-বিক্ষত হই, দগ্ধ হই
তোমারই গোলাপ পাপড়িতে
.
এখানে এখন শীতকাল বলে কিছু নেই
শিশিরের ফোটায়ও ধূমায়িত চায়ের উষ্ণতা
কুয়াশার আবরণেও ভিসুভিয়াসের উত্তাপ
অন্তরের ভাজে ভাজে বৃন্দাবনের কৌমার্য সংলাপ
অষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে শৃঙ্গারে মেতে উঠে তরুলতা
নদী ও নারীর প্রেমে থেমে যায় যাবতীয় মুখরতা
.
স্নান ঘরের প্রাগৈতিহাসিক আরশিতে
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি সুখচিহ্ন
আর ভাবি এমনই করে
বার বার লুটিয়ে পড়ুক শস্য-ভারে
আমাদেরই নবান্ন
দূর হোক ক্লান্তি-শ্রান্তি; জৈবিক কারুকাজে
ঘুমিয়ে পড়ুক অরণ্য, ঘুমিয়ে পড়ুক চাঁদ-সূর্য
পশু-পাখিরা চোখ বুজে থাকুক না আজ
মানব-মানবির লাজে
.
কিন্তু, এ গল্পের শুরু আছে শেষ নেই
এ নিয়েই আমাদের ভাবনার অন্ত নেই
কখনও দ্বারস্থ হই আত্মবিশ্বাসের কাঠগড়ায়
কখনও দ্বারস্থ হই আত্মসমর্পণের দরজায়
উষ্ণতায় সাঁতরানোই সব কিছু নয়
আমাদের কখনও কখনও নতজানু হতে হয়
বিনয়ী প্রশ্রয়ে আলোর মিছিলে
অসমাপ্ত পথ করতে হবে দুর্জয়